এখন শীতকাল। শীতের রুক্ষতা থেকে শরীরের তথা মুখের এই ছোট অংশ ঠোঁটও বাদ পড়ে না। শীতে ঠোঁট ফাটা একটি কমন সমস্যায় পরিণত হয়। আসুন জেনে নিই কীভাবে ঠোঁট ফাটা থেকে রক্ষা পাওয়া যায়।
- শীতের আর্দ্রতার জন্য ঠোঁট ফেটে যায়। শীতে ঠোঁট ফেটে যায় না এমন মানুষ খুবই কম পাওয়া যাবে। শীতের এ রুক্ষতা থেকে রেহাই পেতে অধিক যত্নবান হওয়া ছাড়া কোনো উপায় নেই। খেয়াল রাখতে হবে ঠোঁট যাতে বেশিক্ষণ ধরে শুষ্ক বা শুকনো না থাকে। তাই দিনে কমপক্ষে ৩-৪ বার পেট্রলিয়াম জেলি, ক্রিম, গ্লিসারিন বা চ্যাপস্টিক জাতীয় তৈলাক্ত কিছু লাগানো অত্যন্ত জরুরি।
- অনেকেই ঠোঁট ভেজানোর জন্য জিভ ব্যবহার করে থাকেন। এটা নিতান্ত বদ অভ্যাস। কারণ ঠোঁট এতে নরম তো হয় না বরং ঠোঁট ফাটার কারণ হয়ে দাঁড়ায়।
- মেয়েদের সাজ অপরিপূর্ণ থেকে যায় যদি ঠোঁটে লিপস্টিক লাগানো না হয়। কিন্তু ফাটা ঠোঁটে লিপস্টিক লাগানোর আগে লিপজেল বা লিপবাম জাতীয় কিছু লাগিয়ে কিছুক্ষণ রেখে টিস্যু পেপার দিয়ে হালকা মুছে লিপস্টিক লাগানো উচিত।
- ফ্যাশন সচেতন মেয়েদের লিপস্টিক ছাড়া আজকাল চলেই না। তাই তাদের উচিত যেসব লিপস্টিক ঠোঁটের ক্ষতি করে না বা ভিটামিন ‘ই’ সমৃদ্ধ লিপস্টিক ব্যবহার করা। ঠোঁট ফাটা থেকে রক্ষা পেতে ব্র্যান্ডের লিপস্টিক ব্যবহার করা উচিত।
- যাদের ঠোঁটের রঙ কালো বা দাগ আছে তারা সমপরিমাণ গ্লিসারিন ও লেবুর রস মিশিয়ে ঠোঁটে লাগাতে পারেন। ভালো কাজ দেবে।
- অনেকের ঠোঁট বেশি শুষ্ক। তাদের ঠোঁটই বেশি ফেটে থাকে। তাদের উচিত সঙ্গে সবসময় পেট্রলিয়াম জেলি রাখা। যখনই ঠোঁট শুষ্ক লাগবে তখনই পেট্রলিয়াম জেলি বা লিপবাম লাগাবেন।
- ঠোঁট ফাঁটার হাত থেকে রক্ষা পেতে পানির গুরুত্ব অনেক। প্রতিদিন প্রচুর পানি পান করবেন। এতে শরীরের তথা ঠোঁটে পানির ঘাটতি থাকবে না। এ ছাড়া প্রতিদিন কিছু ফল খেতে পারেন। এ ক্ষেত্রে গাজরের রস ফাটার হাত থেকে ঠোঁটকে ভালো রাখতে অন্যতম ভূমিকা রাখে।
- ঠোঁটের নরম ও তুলতুলে ভাব বজায় রাখতে নিয়মিত গ্লিসারিন, মধু ও গোলাপজল সমপরিমাণে মিশিয়ে ঠোঁটে লাগিয়ে রাখুন ৩-৪ মিনিট। পরক্ষণে তুলা ভিজিয়ে মুছে নিয়ে লিপজেল বা ভ্যাসলিন লাগিয়ে নিন। ভালো ফল পাবেন।
0 comments:
Post a Comment