Pages

Subscribe:

Ads 468x60px

Sunday, August 31, 2014

স্ক্রাবিং




নিয়মিত ত্বকের যত্নের একটা অংশ হলো ঘষা-মাজা, অর্থাৎ স্ক্রাবিং। ত্বক পরিষ্কারের অন্যতম পদ্ধতি হলো স্ক্রাবিং করা। এর মাধ্যমে ত্বকের মৃত কোষ পরিষ্কার হয়ে যায়। উজ্জ্বলতা বেড়ে যায় ত্বকের। তবে ত্বকের ধরন বুঝে স্ক্রাবিং করতে হবে। তা না হলে হিতে বিপরীত হতে পারে।
সপ্তাহে অন্তত এক দিন মুখসহ সারা শরীর স্ক্রাবিং করা উচিত। এতে একদিকে ত্বক পরিষ্কার হয়, অন্যদিকে শরীর-মন ঝরঝরে থাকে। রক্ত সঞ্চালন ভালো হয়। ভালো কোনো রূপচর্চা কেন্দ্রে গিয়েও স্ক্রাবিং করাতে পারেন। তখন ১৫ দিনে একবার করা যেতে পারে। কিউবেলার রূপবিশেষজ্ঞ ফারজানা আরমান বলেন, তৈলাক্ত ত্বকে ব্রণের প্রবণতা থাকে। তাই ব্রণ থাকলে স্ক্রাবিং করা যাবে না। এতে ব্রণের প্রকটতা বেড়ে যাবে। নাক-কপালে ব্রণ না থাকলে শুধু সেই অংশটুকু স্ক্রাবিং করলেই হবে। তাতেও কাজ হবে।
বাজারে ত্বকের ধরন অনুযায়ী নানা ধরনের স্ক্রাব পাওয়া যায়। কোনোটা শুধু মুখের জন্য, কোনোটা হাত-পা আবার কিছু আছে পুরো শরীর স্ক্রাবিংয়ের জন্য। তবে ভালো মানের স্ক্রাব ব্যবহার করতে হবে। ব্যবহারের পর ত্বকে কোনো ধরনের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হলে ব্যবহার না করাই ভালো। প্রয়োজনে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
হাতের কাছে যেসব উপাদান পাওয়া যায় সেসব দিয়েও স্ক্রাবিং করা যেতে পারে। এর জন্য প্রয়োজন আলস্য দূর করে একটুখানি ইচ্ছা-আগ্রহ।
হারমনি স্পা ও ক্লিওপেট্রার রূপবিশেষজ্ঞ রাহিমা সুলতানা ঘরে বসে স্ক্রাব করার বিভিন্ন প্যাক নিয়ে পরামর্শ দিয়েছেন।

স্বাভাবিক ত্বকের জন্য
কাঁচা হলুদের পেস্টের সঙ্গে চালের গুঁড়া, দুধ, মধু ও জলপাই তেল মিশিয়ে নিতে হবে। এটি সপ্তাহে এক দিন ব্যবহার করা যেতে পারে। এ ছাড়া বেসনের সঙ্গে গ্লিসারিন, গোলাপজল, জলপাই তেল মিশিয়েও প্যাক তৈরি করে ব্যবহার করতে পারেন। স্বাভাবিক ত্বকের জন্য ডিমের কুসুম (হলুদ অংশ), ১ টেবিল চামচ বেসন ও দুধের প্যাক বেশ কার্যকর।

তৈলাক্ত ত্বকের জন্য
বেসন, শসার রস ও গাজরের রস মিশিয়ে ব্যবহার করতে পারেন। তৈলাক্ত ত্বকে নাকে ব্ল্যাক হেডস ও হোয়াইট হেডসের প্রবণতা দেখা যায়। এসব দূর করতে ডিমের সাদা অংশ নাকে ম্যাসাজ করে এর ওপর টিস্যু চেপে ২০ মিনিট রাখতে হবে। এরপর এক টানে তুলে ফেলতে হবে।

শুষ্ক ত্বকের জন্য
সয়াবিন পাউডার, দুধের সর, কাঁচা হলুদ, গাজরের রস ও চালের গুঁড়া মিশিয়ে প্যাক তৈরি করে নিন। এটি শুষ্ক ত্বকের মৃত কোষ যেমন পরিষ্কার করে, তেমনি উজ্জ্বলতাও বাড়ায়।

মিশ্র ত্বকের জন্য
মিশ্র ত্বকে শুধু টি-জোন অর্থাৎ নাক-কপালই তৈলাক্ত হয়। ডিমের সাদা অংশ, মধু, দুই-তিন ফোঁটা লেবুর রস, দুধের সর এবং ওটমিল মিশিয়ে প্যাক তৈরি করতে হবে।

সংবেদনশীল ত্বকের জন্য
সয়াবিন গুঁড়া, দুধ ও মধু এই ধরনের ত্বকের জন্য ভালো।

এসব প্যাক পুরো শরীরেও ব্যবহার করতে পারেন। খেয়াল রাখতে হবে, স্ক্রাব ব্যবহারের পর আলতোভাবে ত্বক মালিশ করতে হবে। ত্বক পরিষ্কারের পর অবশ্যই ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করতে হবে।

Saturday, August 30, 2014

৩ টি ছোট্ট কাজ কমাবে কর্মক্ষেত্রে মানসিক চাপ !

\


কাজে চাপ এবং নানা ধরনের জীবনযাপনের সমস্যায় পড়ে অনেকেই মানসিকচাপে ভুগে থাকেন। সব চাইতে বেশি সমস্যা হয় তখন, যখন কর্মক্ষেত্রের কোনো ব্যাপার নিয়ে মানসিক চাপ নেয়া হয়। ধরুন, কাজ করতে করতে মাথা ঝিম ধরে গিয়েছে, কিংবা চাপের জন্য মনোযোগ দিতে পাড়ছেন না, অথবা কোনো কাজ করতে চাইছেন কিন্তু পাড়ছেন না, আবার কেউ আপনার নামে সমালোচনা করছে অথবা কেউ আপনার বিরুদ্ধে পলিটিক্স খাটাচ্ছে ইত্যাদি।


এইসকল মানসিকচাপ কর্মক্ষমতার ওপরে অনেক বড় প্রভাব ফেলে। কর্মক্ষেত্রে এই ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হলে কাজের ইচ্ছা, স্পৃহা সবই কমে যায়। এতে করে আপনি নিজেই পড়তে পারেন বিপদে। আপনার কর্মদক্ষতা কমে এলে আপনি অফিসের বসের চোখে হয়ে যেতে পারেন অলস প্রকৃতির কর্মকর্তা। তাই কর্মক্ষেত্রের এইসকল মানসিক চাপ থেকে যতো দূরে থাকা সম্ভব ততোই ভালো।

একটানা কাজের মধ্যে ডুবে না থেকে কিছুক্ষণ রিলাক্স করুন

একটানা কাজ করে চললে মানসিক চাপটা আরও বেশি বেড়ে যাবে যা আপনার জন্য অনেক বেশি ক্ষতিকর। যতোই কাজের চাপ থাকুন না কেন নিজের মানসিক স্বাস্থ্যের কথা ভেবে খানিকক্ষণ রিলাক্স করে নিন। মস্তিষ্ককে বিশ্রাম দিন। মাত্র ১০ মিনিটের পাওয়ার ন্যাপ নিয়ে দেখতে পারেন। অনেকটা মানসিক চাপ কমে যাবে। কিংবা করতে পারেন ৫ মিনিটের মেডিটেশন। তাতেও ভালো ফল পাবেন।

ভিত্তিহীন কথা কানে তোলা বন্ধ করুন
আপনি যেমনই থাকুন না কেন এবং যাই করুন না কেন মানুষ আপনাকে নিয়ে সমালোচনা করবেই। আপনি যেহেতু জানেন যে কথাগুলো হচ্ছে আপনাকে নিয়ে তা পুরোপুরি ভিত্তিহীন তাহলে তা আপনি নিজের কানে তুলে কেনো নিজের কর্মস্পৃহা কমিয়ে আনবেন? কথা কানে তুলবেন না। নিজের মতো কাজ করে চলুন। দেখবেন আপনাআপনিই কথা বন্ধ হয়ে যাবে।

চা/কফি পান করুন কাজের ফাঁকে
অনেক বেশি কাজের চাপ হলে তার কারণেই জন্মায় মানসিক চাপ। কমে আসে দেহের সুগার লেভেল। আরও বেশি সমস্যায় পড়ে যান তখন। একটি কাজ করুন। ১ কাপ কফি বা চা পান করে নিন। চা পানের সাথে দু একজন কলিগের সাথে খানিকক্ষণ আড্ডাও দিতে পারেন। এতে করে মানসিক চাপ কমে যাবে এবং আপনার দেহের সুগারের মাত্রাও ঠিক হয়ে যাবে। আবার এই ছোট্ট কাজে কলিগদের সাথেও সুসম্পর্ক হবে।


দাঁত সাদা করার ঘরোয়া উপায়






আমাদের সবারই মন ভোলায় একটি ঝকঝকে সুন্দর দাঁতের হাসি কিন্তু আপনার দাঁত যদি হয় হলুদ তাহলে বিব্রত না হয়ে উপায় কি বলুন?
আসুন জেনে নেই হলুদ দাঁত সাদা করার কিছু ঘরোয়া উপায়…………………………

বেকিং পাউডার
এটি দাঁত সাদা করতে সবচেয়ে কার্যকরী। একটি ব্রাশ ভিজিয়ে নিয়ে পেস্টের সঙ্গে কিছুটা বেকিং পাউড়ার নিয়ে দাঁত মাজলে দাঁত হয় ঝকঝকে সাদা। সকালে ঘুম থেকে উঠে কিংবা রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে দাঁত ব্রাশের সময় এটা করা যেতে পারে

স্ট্রবেরির বিচি
স্ট্রবেরি খেতে যেমন মজাদার, ফলটির বিচিও দাঁতের জন্য বেশ উপকারী। স্ট্রবেরি ফলের ছোট ছোট বিচি আপনার দাঁতের বাইরের অংশে ঘষুন। সপ্তাহে কমপক্ষে বার এই কাজ করলে দাঁতে জমে থাকা ময়লা সহজেই দূর হয়। একই সঙ্গে দাঁতের রংও হবে উজ্জ্বল

লেবুর রস
এক চিমটি লবণ কয়েক ফোঁটা লেবুর রস দিয়ে মাজলে দাঁত সাদা হয়। এছাড়া লেবুর খোসা দিয়ে আপনার দাঁত স্ক্রাবিং করতে পারেন। দাঁত সাদা করতে এটাও বেশ ভাল উপায়

পাইপ ব্যবহার
অনেকের চা কফির প্রতি দারুণ আসক্তি আছে। অবস্থা এমন যে সারা দিন কত কাপ চা বা কফি খাওয়া হয়েছে, তার হিসাব মেলানো দায়। একই কথা প্রযোজ্য সোডাজাতীয় পানীয়ের ক্ষেত্রে। সত্য কথা হলোচা, কফি সোডাজাতীয় পানীয় দাঁতের শত্রু। এগুলো দাঁতের রং নষ্ট করে দেয়। দাঁত রক্ষায় এগুলো পান পুরোপুরি ত্যাগ বা নিয়ন্ত্রণ করা যেতে পারে। আর তা সম্ভব না হলে বিকল্প ব্যবস্থা হিসেবে পাইপ বা স্ট্র ব্যবহার করা যায়

কমলার খোঁসা
সকালে ঘুম থেকে উঠে পানি দিয়ে আপনার দাঁত ধুয়ে ফেলুন। তারপর কমলালেবুর খোসা দিয়ে আপনার দাঁত ঘষুন। কমলালেবুর খোসায় ক্যালসিয়াম ভিটামিন সি এর উপস্থিতি থাকায় দাঁতের অণুজীবের সঙ্গে লড়াই করে। এতে দাঁত আরও সাদা এবং শক্তিশালী হয়

মাশরুম
দাঁত সাদা করতে মাশরুম খেতে পারেন। এতে প্রচুর পরিমাণে পলিস্যাকারাইড থাকে। যা ব্যাকটেরিয়া ধ্বংস করে ডেন্টাল প্লাক হতে দেয়না

সবুজ চা
এতে প্রচুর ফ্লুরাইড থাকে। এছাড়া এটি এন্টি এসিডিক হওয়ার কারণে দাঁতে হলুদ রং পড়তে বাঁধা দেয়

কাঠকয়লা
এর আগে মানুষের দাঁত পরিষ্কারে ব্যবহৃত হতো কাঠকয়লা। কাঠকয়লা আপনার দাঁত সাদা করতে সাহায্য করে।তাই মাঝে মাঝে কাঠ কয়লা মিক্স ব্যবহার করতে পারেন

ফ্লস ব্যবহার
দাঁতের পরিচ্ছন্নতা রং সুরক্ষায় ফ্লসও বেশ উপকার দেয়। দাঁতের ফাঁক থেকে খাদ্যের কণা দূর করতে নিয়মিত ফ্লস ব্যবহার করুন। বিশেষত সারা দিন খাবারদাবার খাওয়ার পর প্রতি রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে ফ্লস ব্যবহার করে দাঁত পরিষ্কার উজ্জ্বল রাখা যায়


Thursday, August 21, 2014

ছোট মাছের পাঁচ পদ

বাতাসি মাছের টকবাতাসি মাছের টক
উপকরণ: বাতাসি মাছ আধা কেজি, পেঁয়াজ কুচি ১ কাপ, পেঁয়াজবাটা ১ টেবিল চামচ, রসুনবাটা ১ চা-চামচ, হলুদগুঁড়া আধা চা-চামচ, মরিচগুঁড়া আধা চা-চামচ, কাঁচা মরিচ ফালি ৩-৪টি, ভাজার জিরার গুঁড়া আধা চা-চামচ, ধনেপাতা কুচি ২ টেবিল চামচ, আমড়া পাতলা করে কাটা ১টি, তেল পরিমাণমতো, লবণ স্বাদমতো।
প্রণালি: প্রথমে বাতাসি মাছ কেটে ধুয়ে নিতে হবে। তারপর লবণ, হলুদগুঁড়া ও মরিচগুঁড়া মেখে মাছ ১০ মিনিট মেরিনেট করে নিতে হবে। ফ্রাইপ্যানে চুলায় দিয়ে তাতে তেল দিন। তেল গরম হলে কাটা পেঁয়াজ দিন। পেঁয়াজ সাদা হয়ে এলে মরিচগুঁড়া, হলুদগুঁড়া, পেঁয়াজবাটা, রসুনবাটা, লবণ, সামান্য পানি দিয়ে কষান। কষানো হলে তাতে ১ কাপ পানি দিন এবং আমড়া দিন। অন্য একটি ফ্রাইপ্যানে তেল দিয়ে বাতাসি মাছগুলো ভেজে লাল করুন। মাছ ভাজা হলে ফুটন্ত ঝোলের মধ্যে দিন। ধনেপাতা দিন ঝোল ঘন হয়ে এলে। ভাজা জিরার গুঁড়া দিয়ে পরিবেশন করুন।

তেল কইতেল কইউপকরণ: কই মাছ ৪টি, সরিষার তেল ৫-৬ চা-চামচ পেঁয়াজবাটা ১ টেবিল চামচ, রসুন ও কাঁচা মরিচ (টেলে বেটে নেওয়া) ১ চা-চামচ, জিরাবাটা আধা চা-চামচ, হলুদগুঁড়া ১ চা-চামচ, মরিচগুঁড়া ১ চা-চামচ, লবণ স্বাদমতো, ধনেপাতা কুচি ১ টেবিল চামচ, লেবুর রস ১ টেবিল চামচ, কাঁচা মরিচ ফালি ২-৩টি।
প্রণালি: প্রথমে মাছ কেটে ভালো করে পানি ঝরাতে হবে। তারপর লেবুর রস, লবণ, সামান্য হলুদ ও মরিচগুঁড়া এবং ১ টেবিল চামচ সরিষার তেল দিয়ে মাখিয়ে ১০ মিনিট মেরিনেট করে রাখতে হবে। ফ্রাইপ্যানে তেল দিয়ে তাতে কই মাছগুলো ভেজে নিন। এবার বাকি তেল ও মসলা দিয়ে ভুনে ১ কাপ পানি দিয়ে তাতে ভাজা মাছগুলো দিতে হবে। কিছুক্ষণ পর একবার মাছ উল্টে দিয়ে ধনে পাতা ও কাঁচা মরিচ ফালি দিতে হবে। তেল ওপরে উঠে এলে নামিয়ে পরিবেশন করুন মজাদার তেল কই।
বেলে মাছ ভাজাবেলে মাছ ভাজাউপকরণ: বেলে মাছ ৩০০ গ্রাম, পেঁয়াজ কুচি ২ টেবিল চামচ, রসুনবাটা আধা চা-চামচ, হলুদগুঁড়া আধা চা-চামচ, মরিচগুঁড়া আধা চামচ, জিরাবাটা আধা চা-চামচ, লবণ স্বাদমতো, তেল পরিমাণমতো, পানি আধা কাপ।
প্রণালি: ওপরের সব উপকরণ দিয়ে মাছ একসঙ্গে মেখে রাখুন। ফ্রাইপ্যানে তেল দিয়ে মৃদু আঁচে মাছ ভাজুন, এবার উল্টে দিন এবং সামান্য পানি দিন। বেলে মাছ শুকনো শুকনো করে ফেলুন। ভাত বা পোলাওর সঙ্গে পরিবেশন।

চিংড়ির বাটি চচ্চড়িচিংড়ির বাটি চচ্চড়িউপকরণ: চিংড়ি মাছ ১ কাপ (মাঝারি), নারকেলবাটা ২ টেবিল চামচ, সরিষাবাটা ১ চা-চামচ, কাঁচা মরিচবাটা ২টি, হলুদগুঁড়া ১ চা-চামচ, সরিষার তেল ৩ টেবিল চামচ, লবণ স্বাদমতো, কাঁচা মরিচ ফালি ২-৩টি।
প্রণালি: ওপরের সব উপকরণ একসঙ্গে মেখে একটি ঢাকনাযুক্ত স্টিলের বাটিতে দিয়ে প্রেশার কুকারে ভাপে সেদ্ধ করে নিন। গরম ভাতের সঙ্গে পরিবেশন করুন চিংড়ির বাটি চচ্চড়ি।

ট্যাংরা মাছের ঝালট্যাংরা মাছের ঝালউপকরণ: ট্যাংরা মাছ ৩০০ গ্রাম, পেঁয়াজ বাটা ২ টেবিল চামচ, রসুনবাটা ১ চা-চামচ, মরিচগুঁড়া ১ চা-চামচ, হুলুদগুঁড়া আধা চা-চামচ, ধনেপাতা কুচি ২ টেবিল চামচ, কাঁচা মরিচ ফালি ৩-৪টি, লবণ স্বাদমতো, তেল প্রয়োজনমতো, আলু কুচি (মাঝারি) ১টি।
প্রণালি: মাছ কেটে পরিষ্কার করে ধুয়ে পানি ঝরাতে হবে। চুলায় ফ্রাইপ্যানে তেল দিন। তেল গরম হলে পেঁয়াজবাটা, রসুনবাটা, হলুদগুঁড়া, মরিচগুঁড়া, লবণ ও সামান্য পানি দিয়ে ভালো করে কষে নিন। কষানো হলে তাতে মাছ ও আলু কুচি দিন। একটু নেড়ে এক কাপ পানি দিন এবং ঢেকে দিন। মাছ ও আলু সেদ্ধ হলে ধনেপাতা ও কাঁচা মরিচ দিন। গরম ভাতের সঙ্গে পরিবেশন করুন।

লেবুযোগ



টুকরা করে কাটা লেবু। খাবার সময় লেবুর রস চিপে স্বাদ বাড়ানোর কাজটা তো করাই হয়। আবার লেবুই হতে পারে খাবারের অন্যতম উপাদান। লেবু দিয়ে সে রকম কিছু খাবার রান্না করে দেখিয়েছেন ফাতেমা আজিজ
লেবুযোগফ্রায়েড ফিলেটস উইথ গ্রেভিফ্রায়েড ফিলেটস উইথ গ্রেভি
উপকরণ: বাচা মাছের ফিলেট (২টি), ৮০০ থেকে ৯০০ গ্রাম ময়দা আধা কাপ বা প্রয়োজন অনুযায়ী ফেটানো ডিম ২টি, ব্রেড ক্রাম্বস ১ কাপ, পারমিজান চিজ ২ টেবিল চামচ, মিক্সড হার্বস ১ টেবিল চামচ, লবণ পোয়া চা-চামচ অথবা স্বাদ অনুযায়ী, গোলমরিচ গুঁড়া ১ চা-চামচ, লাল মরিচের গুঁড়া ১ চা-চামচ, আদার রস ১ টেবিল চামচ, তেল মাছ ফ্রাই করার জন্য (আনুমানিক পোয়া কাপ থেকে আধা কাপ)।
প্রণালি: মাছ ধুয়ে পানি ঝরিয়ে কিচেন টাওয়াল দিয়ে শুকনা করে মুছে নিন। একটি প্লেটে ব্রেড ক্রাম্বসের সঙ্গে পারমিশন চিজ, মিক্সড হার্বস, লবণ ও গোলমরিচের গুঁড়া মিশিয়ে রাখুন। ময়দায় লাল মরিচের গুঁড়া ও সামান্য লবণ মিশিয়ে মিলিয়ে রাখুন। প্যানে তেল গরম করুন। তেল গরম হতে হতে মাছের ফিলেট দুটো প্রথমে ময়দায় গড়িয়ে ফেটানো ডিমে চুবিয়ে ব্রেড ক্রাম্বসের মিশ্রণে গড়িয়ে আঁচ কমিয়ে প্যানের তেলে মাছের ফিলেটগুলো দুই পিঠই লালচে করে ভেজে পরিবেশন ডিশে উঠিয়ে সেট করুন।
গ্রেভির জন্য উপকরণ: টমেটো কেচাপ সিকি কাপ, থাই চিলি সস সিকি কাপ, চিলি গার্লিক সস সিকি কাপ, সয়া সস ২ টেবিল চামচ, তেল ৩ টেবিল চামচ, রসুন কুচি (৭-৮ কোয়ার) ১টি, পেঁয়াজ কুচি ২টি, কাঁচা মরিচ কুচি ৪টি, লেবুর রস ১টি, চিনি ১ চা-চামচ, পানি আধা থেকে ১ কাপ।
প্রণালি: একটি ফ্রাইং প্যানে পেঁয়াজ ও রসুন কুচি হালকা বাদামি করে ভেজে কাঁচা মরিচ কুচি দিয়ে নাড়ুন। সব ধরনের সস একটি বাটিতে নিয়ে মিশিয়ে তা পেঁয়াজ কাঁচা মরিচ ও রসুনের মিশ্রণে ঢেলে আঁচ মাঝারি করে অনবরত নাড়ুন। যেই বাটিতে সসের মিশ্রণ ছিল, সেই বাটিটি আধা কাপ পানি দিয়ে ধুয়ে তা ঢেলে দিয়ে চিনি এবং লেবুর রস দিয়ে নাড়ুন। কয়েকবার ফুটে উঠলে ঘনত্ব বাড়লে মাছের ওপর ঢেলে পরিবেশন করুন।
গোল্ডেন সিসমে ফ্রায়েড প্রনসগোল্ডেন সিসমে ফ্রায়েড প্রনস
উপকরণ: প্রথম ধাপ—চিংড়ি মাছ (মাঝারি আকারের) ২৫০ গ্রাম (মাথা ও লেজ বাদ দিয়ে), লেবুর রস ১ চা-চামচ, লবণ আধা চা-চামচ, কর্নফ্লাওয়ার ২ টেবিল চামচ।
ম্যারিনেডের জন্য: দ্বিতীয় ধাপ—সয়া সস ১ চা-চামচ, লেবুর রস ১ চা-চামচ, লবণ আধা চা-চামচ, সাদা গোলমরিচ গুঁড়া সিকি চা-চামচ।
ব্যাটারের জন্য: তৃতীয় ধাপ—ডিমের সাদা অংশ ১টির, কর্নফ্লাওয়ার ৩ টেবিল চামচ, বেকিং পাউডার ১ চিমটি, সাদা গোলমরিচের গুঁড়া সিকি চা-চামচ, লবণ আধা চা-চামচ, তেল ১ টেবিল চামচ (ভাজার জন্য), সাদা তিল ১ টেবিল চামচ, রেড চিলি ফ্লেক্স সিকি চা-চামচ।
প্রণালি: চিংড়ি মাছ ধুয়ে প্রথম ধাপের উপকরণ অনুযায়ী লেবুর রস ও লবণ দিয়ে মেখে ১৫ মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন। পানি ঝরিয়ে কিচেন টাওয়াল বা টিস্যু পেপার দিয়ে মুছে পানি শুকিয়ে নিন। একটি গামলায় দ্বিতীয় ধাপের সব উপকরণ একত্রে মিশিয়ে মাছের সঙ্গে মেখে ঘণ্টা খানেক ফ্রিজে রেখে দিন। তৃতীয় ধাপের সব উপকরণ একত্রে মিশিয়ে মসৃণ করে ফেটে নিন।
প্রথম ধাপের উপকরণের কর্নফ্লাওয়ার একটি প্লেটে ছড়িয়ে রাখুন। এবারে কড়াইয়ে তেল গরম করতে দিয়ে একটি একটি করে চিংড়ি মাছ উঠিয়ে একটি শুকনা প্লেটে রাখুন। কিছুটা পানি টেনে গেলে কর্নফ্লাওয়ারে গড়িয়ে নিয়ে চুবিয়ে মাঝারি আঁচে ৫-৬টি করে মাছ দিয়ে সোনালি করে ভেজে তেল ছেঁকে উঠিয়ে নিন। একটি ডিশে লেটুস পাতা কুচি করে ছিটিয়ে চিংড়ি মাছগুলো তার ওপর সাজিয়ে চিলি সস দিয়ে গরম গরম পরিবেশন করুন।
লেবুর সঙ্গে পাঁচমিশালি সবজিলেবুর সঙ্গে পাঁচমিশালি সবজি
উপকরণ: টুকরা করে কাটা পাঁচমিশালি সবজি (গাজর, পেঁপে, বরবটি, বাঁধাকপি, ফুলকপি, ক্যাপসিকাম) ৫০০ গ্রাম, ২টি মুরগির বুকের মাংস, পেঁয়াজ (১টি করে ৪ টুকরা করে কোষ আলাদা করে নেওয়া) ৪টি, কাঁচা মরিচ ফালি ৪টি, লেবু ১টি (পাতলা গোল করে কাটা), গোলমরিচ ফাঁকি আধা চা-চামচ, রেড চিলি ফ্লেক্স আধা চা-চামচ, লবণ আধা চা-চামচ + ১ চা-চামচ + আধা চা-চামচ, দুধ দেড় কাপ, আদা বাটা ১ চা-চামচ, কর্নফ্লাওয়ার আড়াই টেবিল চামচ, সয়া সস ২ চা-চামচ, বেকিং সোডা সিকি চা-চামচ, রোস্টেড কাজু বাদাম সিকি কাপ, তেল সিকি কাপ, মাখন ২ টেবিল চামচ।
প্রণালি: সবজি ধুয়ে পানি ঝরিয়ে নিন। একটি হাঁড়িতে লবণ দিয়ে পানি ফুটিয়ে সবজিগুলো দিয়ে খাওয়ার সোডা দিয়ে নেড়ে দিন। দু-একবার ফুটে উঠলে ঝাঁজরিতে ঢেলে কলের নিচে ঝাঁজরিটি ধরে গরম ভাপ কাটিয়ে নিয়ে একটি হাঁড়ির ওপরে রাখুন। মুরগির বুকের মাংস কিউব করে কেটে সয়া সস, গোলমরিচের ফাঁকি ও আধা চা-চামচ লবণ দিয়ে মেখে আধা ঘণ্টা রেখে দিন। তারপর প্যানে মাখন গলিয়ে মাংসগুলো অল্প আঁচে ভেজে নিন। মাংস সেদ্ধ হয়ে বাদামি রং হলে চুলা বন্ধ করে একটি পাত্রে বেড়ে রাখুন। একটা বাটিতে দেড় কাপ তরল দুধে আধা চা-চামচ লবণ, চিলিফ্লেক্স মিশিয়ে কর্নফ্লাওয়ার গুলে নিন। কড়াই বা প্যানে তেল গরম করে পেঁয়াজ ও ২টি কাঁচা মরিচ ফালি কিছুক্ষণ ভেজে নিয়ে মুরগির টুকরাগুলো দিয়ে কিছুক্ষণ নেড়েচেড়ে আদা বাটা দিয়ে কষিয়ে সবজি এবং ১ চা-চামচ লবণ দিয়ে নাড়ুন। এবারে দুধ ও কর্নফ্লাওয়ারের মিশ্রণ ভালো করে মিশিয়ে নেড়ে তা সবজিতে দিয়ে নাড়ুন। কয়েকবার ফুটে উঠলে ঘন হয়ে এলে আঁচ কমিয়ে নেড়ে ওপরে বাকি কাঁচা মরিচ ফালি ও গোল করে কাটা লেবুর টুকরাগুলো বিছিয়ে দিয়ে আঁচ কমিয়ে ঢেকে দিন। ২ মিনিট পর চুলা বন্ধ করে ঢাকনা খুলে কাজু বাদাম দিয়ে নেড়ে ঢেকে দিয়ে ৩ মিনিট দমে রাখুন। এরপর চুলা থেকে নামিয়ে ডিশে বেড়ে পরিবেশন করুন।
লেমন চিকেন সালাদলেমন চিকেন সালাদ
উপকরণ: গাজর (কিউব করে কাটা) সিকি কাপ, গাজর (চিকন লম্বা ঝুরি করা) আধা কাপ, শশা (কিউব করে কাটা) সিকি কাপ, শশা (চিকন লম্বা ঝুরি করা) আধা কাপ, লাল আপেল (কিউব করে কাটা) ১টি, সবুজ আপেল (কিউব করে কাটা) ১টি, পনির (কিউব করে কাটা) আধা কাপ, ক্যাপসিকাম (কিউব করে কাটা) ১টি, লেবু (ছোট কিউব করে কাটা) ১টি, ২টি লেবুর রস, ১টি লেবু লম্বা ঝুরি করে কাটা (লেমন রাইড), টমেটো (কিউব করে কাটা) ১টি, কাঁচা মরিচ ফালি (১টি করে ৪ ফালি করা) ৪টি, পেঁয়াজ (মিহি স্লাইস) ১টি, পুদিনাপাতা কুচি ১ আঁটি, চিকেন ব্রেস্ট ১টি, লবণ ১ থেকে দেড় চা-চামচ অথবা স্বাদ অনুযায়ী, চিনি ১ চা-চামচ, গোলমরিচ ফাঁকি পোয়া চা-চামচ, বিট লবণ পরিমাণমতো (আনুমানিক পোয়া থেকে আধা চা-চামচ), সরষে গুঁড়া সিকি চা-চামচ, মাখন ১ টেবিল চামচ।
প্রণালি: মুরগির বুকের মাংস ১ চা-চামচ, সয়া সস সিকি চা-চামচ, লবণ ও ১ চা-চমচ লেবুর রস এবং সিকি চা-চামচ গোলমরিচ গুঁড়া দিয়ে মেখে ঘণ্টা খানেক রেখে ১ টেবিল চামচ মাখন গলিয়ে অল্প আঁচে দুই পিঠ ভালো করে গ্রিল করে নিন। মাংস সেদ্ধ হওয়ার জন্য ঢেকে দিন। পানি টেনে মাংস সেদ্ধ হলে আঁচ বাড়িয়ে দুই মিনিট করে উল্টেপাল্টে গ্রিল করে নামিয়ে একটি প্লেটে রাখুন। ঠান্ডা হলে লম্বালম্বি ৩ টুকরা করে সেই টুকরাগুলো আবার প্রশস্ত দিকে ত্যাছড়া করে কেটে রাখুন। একটু মিক্সিং বোলে সালাদের সব উপকরণ ও মুরগির টুকরাগুলো মিশিয়ে মেখে নিয়ে সার্ভিং ডিশে পরিবেশন করুন।
সাতকড়ায় মাংস ভুনাসাতকড়ায় মাংস ভুনা
উপকরণ: গরুর মাংস ১ কেজি, তেল সিকি কাপ, পেঁয়াজ কুচি সিকি কাপ + আধা কাপ, আদা বাটা ২ চা-চামচ, রসুন বাটা ২ চা-চামচ, ধনে গুঁড়া ২ চা-চামচ, জিরা গুঁড়া ২ চা-চামচ, হলুদ ২ চা-চামচ, মরিচ গুঁড়া ২ চা-চামচ, কাঁচা মরিচ ৪টি, লবণ দেড় চা-চামচ, সাতকড়া মাঝারি আকারের একটি (সাতকড়ার ৪ ভাগের ১ ভাগকে ৪ টুকরা করে নিন), দারুচিনি (২ সেন্টিমিটার) ৩টি, এলাচ ৩টি, তেজপাতা ১টি, সিরকা আধা টেবিল চামচ।
প্রণালি: মাংস টুকরা করে ধুয়ে পানি ঝরিয়ে নিন। একটি হাঁড়িতে মাংসের সঙ্গে তেল, সাতকড়া, গরম মশলা, তেজপাতা ও আধা কাপ পেঁয়াজ ও কাঁচা মরিচ বাদে অন্য সব উপকরণ দিয়ে চুলায় চাপিয়ে দিন। কিছুক্ষণ ঢেকে মাঝারি আঁচে জ্বাল হতে দিন। মাংসের থেকে পানি বের হবে। ১০ মিনিট পর ঢাকনা খুলে মসলার সঙ্গে মিশিয়ে নাড়ুন। এক কাপ পানি দিয়ে কষিয়ে নিন। তারপর আরও দুই কাপ পানি দিয়ে ঢেকে দিন। এবার পানি শুকিয়ে এলে ভালো করে নেড়ে আরও কিছুক্ষণ কষিয়ে দুই কাপ পানি দিয়ে নেড়ে ঢেকে দিন। কয়েকবার ফুটে উঠলে মাংস সেদ্ধ হয়ে এলে আরও এক কাপ পানি দিয়ে সাতকড়া দিয়ে নেড়ে ঢেকে দিন। পাশের চুলায় কড়াইয়ে তেল গরম করে তেজপাতা ও গরম মসলার ফোঁড়ন দিয়ে আধা কাপ পেঁয়াজ সোনালি করে ভেজে মাংসের তরকারি বাগার দিন। আলতোভাবে নেড়ে কাঁচা মরিচ দিয়ে আঁচ কমিয়ে ঢেকে দিন। ওপরে তেল ভেসে উঠলে চুলা বন্ধ করে সার্ভিং বোলে বেড়ে পরিবেশন করুন সাতকড়া দিয়ে মাংস ভুনা।

Afrooooooooooooooooooooooooooooooooooooooooooooooz

Drug Index

Social Icons

 
Blogger Templates