থাইরয়েড হরমোন শিশুর মস্তিষ্কের বিকাশ ও বৃদ্ধিতে সরাসরি ভূমিকা রাখে। জন্মের পর প্রথম তিন বছরে একটি শিশুর মস্তিষ্কের বিকাশ সমাপ্ত হয়, যার সিংহভাগই হয় প্রথম বছরে। তাই এ সময় থাইরয়েড হরমোনের অভাবজনিত সমস্যায় শিশু জন্মগতভাবে শারীরিক ও মানসিক প্রতিবন্ধী হিসেবে গড়ে উঠতে পারে।
কেন হয়?
কোনো কারণে একটি শিশুর থাইরয়েড গ্রন্থি পুরোপুরি গঠিত না হলে বা হরমোন তৈরিতে সমস্যা হলে কনজেনিটাল হাইপোথাইরয়েডিজম নামের এ সমস্যা হতে পারে।
কীভাবে বোঝা যায়?
রোগের লক্ষণ এত ধীরে প্রকাশিত হয় যে প্রাথমিক পর্যায়ে বোঝা কঠিন। তবে হাইপোথাইরয়েড বা ক্রিটিন শিশু বিলম্বে প্রসবিত হয়, ওজনে বড় হয়, জিব ও মুখ বড় থাকে, নাভিতে হার্নিয়া থাকতে পারে, ত্বক থাকে খসখসে। এরা কম কাঁদে বা অস্বাভাবিক আওয়াজ হয় কান্নায়, অতিমাত্রায় ঘুমায় বা খুবই কম সপ্রতিভ বা সচল থাকে, দুই সপ্তাহের বেশি জন্ডিস থাকতে পারে। পরবর্তী সময়ে দেখা যায় তার শারীরিক ও মানসিক বিকাশ ব্যাহত হচ্ছে, অর্থাৎ ঠিক সময়ে বসা বা হাঁটা শুরু হচ্ছে না। বৃদ্ধির বিকাশ হচ্ছে না।
প্রতিরোধ জরুরি
প্রত্যেক গর্ভবতী মা ও নবজাতক শিশুর থাইরয়েড হরমোন পরীক্ষা করা হলে অনেক হতভাগ্য প্রতিবন্ধী শিশুকেই রক্ষা করা যেত। উন্নত বিশ্বে এখন এটি একটি বাধ্যতামূলক রুটিন পরীক্ষায় পরিণত হয়েছে। মায়ের থাইরয়েড সমস্যা থাকলে তার যথাযথ চিকিৎসা, গর্ভকালীন বারবার ফলোআপ ও ওষুধের মাত্রা নিরূপণ জরুরি।
শিশু হরমোন বিভাগ, ঢাকা শিশু হাসপাতাল|
0 comments:
Post a Comment