Pages

Subscribe:

Ads 468x60px

Friday, August 8, 2014

চা গরম!




চা প্রাকৃতিক সম্পূর্ণ নিরাপদ পানীয়। এতে প্রচুর ঔষধি গুণাগুণসহ ভিটামিন খনিজ লবণ আছে। নেই ফ্যাট, ক্যালরি কিংবা সোডিয়াম। চায়ের রোগ প্রতিরোধকারী অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট মানবদেহের জন্য দারুণ কার্যকর।
 
চায়ে ক্যাফিন থাকার কারণে দেহের অবসন্নতা ক্লান্তি দূর করে। ঘুম ঘুমl ভাব দূর করে। দেহ-মনকে সতেজ প্রফুল্ল রাখে। চা কর্মস্পৃহা, চিন্তাশক্তি স্মরণশক্তি বৃদ্ধি করে।
 
চায়ে টেনিন থাকার কারণে দেহে ভিটামিন সি ধারণ সংরক্ষণ ক্ষমতা বৃদ্ধিl পায়। ফলে ত্বক চুলের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি পায়।
 
চায়ের পলিফিনল থিয়াফ্লুবিন থাকার কারণে ফ্লু ভাইরাস নিষ্ক্রিয় হয়ে যায়।l ফলে সর্দি, কাশি ঠান্ডাজনিত রোগের উপশম প্রতিরোধ হয়।
 
চায়ের থিয়ারুবিন যেকোনো ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাস প্রতিরোধে কার্যকর। চাl দেহের যেকোনো ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া ভাইরাস জীবাণু ধ্বংসেও ভূমিকা রাখে।
 
চায়ের পলিফিনল বিশেষ করে কেটচিনস, ফ্লেভানয়েডস, ফ্লেভানলস ক্যাফিনl অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট উপস্থিতির ফলে নিয়মিত চা পানে রক্তে ক্ষতিকারক এলডিএল কোলস্টেরল কমে আসে। ফলে রক্তের জমাট বাঁধা প্রতিরোধ করে, হূৎপিণ্ড ধমনিতে স্বাভাবিক রক্ত চলাচলে সহায়তা করে, রক্তের উচ্চ চাপ নিয়ন্ত্রণ করে এবং হূৎপিণ্ডের ক্রিয়া সচল করে হূদেরাগ স্ট্রোক প্রতিরোধ করে।
 
চা দেহের ভাইরাল ডিজিজ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। ফলে রোগ সংক্রমণ বাl ইনফেকশন হতে দেহকে রক্ষা করে।
 
চায়ে ফ্লোরাইড থাকায় দাঁতের ক্ষয় রোধ করে, দাঁতকে হয় শক্ত, দাঁতে প্লাকl ফরমেশন প্রতিরোধ করে এবং মাড়িকে শক্ত করতে কার্যকর ভূমিকা পালন করে।
 
নিয়মিত চা পান চর্মের টিউমার, লিভার, ফুসফুস প্যানক্রিয়াসের টিউমার গঠনl প্রতিরোধক হিসেবে কার্যকর।
 
মেদবহুল শরীরের মেদ কমাতে সহায়তা করে চা।l
 
যেকোনো প্রকার বাত প্রতিরোধ বাতের ব্যথা প্রশমন করে।l
 
মাথাব্যথা, চোখের ব্যথা সন্ধিস্থলের ব্যথা প্রশমন করে।l
 
বহুমূত্র রোগীদের গ্লুকোজ টলারেন্স ক্ষমতা বাড়ায় চা।l
 
চা এনজাইমকে সক্রিয় করে মেটাবোলিজম (বিপাক) প্রক্রিয়ায় সহায়তা করে।l
 
চায়ে বিদ্যমান বিভিন্ন খনিজ উপাদান, যেমন ম্যাঙ্গানিজ, পটাশিয়াম, জিংকl ইত্যাদি শিশুদের হাড় বৃদ্ধিতে সহায়তা করে।
 
চায়ে ১৫টিরও বেশি অ্যামাইনো এসিড আছে। ক্যারোটিন থায়ামিন দেহের শক্তিl জোগায়।
 
অক্সিজেন মানবদেহের জন্য অত্যাবশ্যক। অক্সিজেন ছাড়া আমরা বাঁচতে পারি না।l একসময় এই অক্সিজেন অণুগুলো ভেঙে যায়। তখন এদের ফ্রি-রেডিকেল বলা হয়। এসব ফ্রি-রেডিকেল মানবদেহে নতুন কোষ গঠনে বাধা প্রদান করে এবং পুরোনো কোষকে ধ্বংস করে মাহবদেহে ক্যানসার সৃষ্টি করে। চায়ের পলিফিনলের অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট বৈশিষ্ট্য থাকায় ভিটামিন খনিজের সঙ্গে যুক্ত হয়ে মানবদেহকে ক্যানসার প্রতিরোধে সহায়তা করে। পলিফিনল ব্রেস্ট, মলাশয়, প্রোস্টেট মুখের ক্যানসার প্রতিরোধে বিশেষভাবে কার্যকর।
 
মানুষের বার্ধক্যজনিত কারণে যেসব রোগ হয় যেমন চোখে ছানি পড়া। ছাড়াl চামড়ায় ভাঁজ পড়া বা চামড়া কুঁচকানো ইত্যাদি প্রতিরোধ করে চা মানবদেহে দেরিতে বার্ধক্য আনয়ন করে।
 
চা মানুষের জীবনীশক্তি বৃদ্ধি করে মানুষকে দীর্ঘদিন বেঁচে থাকতে সহায়তাl করে।
 
চায়ের ফ্লেভানয়েডস সূর্যালোকের ক্ষতিকর প্রভাব থেকে দেহ রক্ষা করে।l
তবে অতিরিক্ত চা পান খালি পেটে চা পান করলে গ্যাস্ট্রিক-আলসার হওয়ার আশঙ্কা থেকে যায়।



0 comments:

Post a Comment

Afrooooooooooooooooooooooooooooooooooooooooooooooz

Drug Index

Social Icons

 
Blogger Templates