Pages

Subscribe:

Ads 468x60px

Sunday, April 20, 2014

হঠাৎ কিডনি বিকল


     
কিডনির কাজ হচ্ছে দেহে বিপাক-উৎপন্ন-বর্জ্য বা দূষিত পদার্থকে নিষ্কাশন করা, যার অন্যতম হলো ইউরিয়া। এ ছাড়া শরীরে পানি, লবণ, অম্ল ও ক্ষারের ভারসাম্য বজায় রাখা এবং রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখাও কিডনির কাজ। কিডনি বিকল হলে দেখা দিতে পারে জরুরি প্রাণসংহারী অবস্থা।
কীভাবে বুঝবেন ?
হঠাৎ করে প্রস্রাবের পরিমাণ অস্বাভাবিক কমে যাওয়া এবং মুখ, পাসহ শরীরে পানি আসা কিডনি বিকলের প্রধান লক্ষণ। এ ছাড়া বমি ভাব, বমি, অরুচি, মাথাব্যথা এমনকি বুকে পানি জমে শ্বাসকষ্ট হতে পারে। কোনো লক্ষণ আদৌ না থাকতে পারে। পরীক্ষায় আকস্মিকভাবে রক্তে ইউরিয়া ও ক্রিয়েটিনিন বেড়ে যায়। তারপর উপসর্গ অনুযায়ী কারণ অনুসন্ধান করতে আরও পরীক্ষা-নিরীক্ষার প্রয়োজন হবে।

চিকিৎসা জরুরি
আকস্মিক কিডনি অকার্যকর হলে চিকিৎসা অবশ্যই জরুরি ভিত্তিতে করতে হবে এবং এ জন্য রোগীকে হাসপাতালে ভর্তি হতে হবে। বিশেষ সতর্কতার সঙ্গে পানি ও স্যালাইনের ব্যবহার, নিবিড় পর্যবেক্ষণ ও প্রয়োজনে ডায়ালাইসিসের দরকার হয়। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে কারণটি দূর করা গেলে চিকিৎসার মাধ্যমে কিডনি আপন কার্যকারিতা ফিরে পায় এবং পরে ডায়ালাইসিসের আর দরকার হয় না। তবে কিছু কিছু ক্ষেত্রে স্থায়ীভাবে কিডনি অকার্যকর হয়ে যেতে পারে। l মেডিসিন বিভাগ, ইউনাইটেড হাসপাতাল।

প্রশ্ন: জরায়ুতে টিউমার হলে কি সন্তান ধারণে কোনো সমস্যা হতে পারে ?


উত্তর: হ্যাঁ, জরায়ু টিউমারের জন্য সন্তান ধারণে সমস্যা বা বারবার গর্ভপাত বা বন্ধ্যাত্ব হতে পারে। ৩০-৪০ শতাংশ ক্ষেত্রে জরায়ু টিউমারের জন্য বন্ধ্যাত্ব হতে পারে। টিউমারের কারণে জরায়ু অতিরিক্ত বড় হয়ে গেলে, ভেতরে কোনো কারণে ভ্রূণ ঠিকমতো বেড়ে উঠতে পারে না, জরায়ু ও ফেলোপিয়ান টিউবের সংযোগস্থলে বা এমন জায়গায় টিউমারটির অবস্থান হয়, যা ভ্রূণকে সুস্থিত হতে বাধা দেয়। এসব ক্ষেত্রে বারবার গর্ভপাত ঘটে বা বন্ধ্যাত্ব হতে পারে। সে ক্ষেত্রে সন্তান নেওয়ার আগে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।

প্রশ্ন: উচ্চ রক্তচাপ কি বেশি বয়সের অসুখ, অর্থাৎ শুধু বয়স্ক ব্যক্তিরাই কি উচ্চ রক্তচাপে আক্রান্ত হন ?


উত্তর: ধারণাটি মোটেই সঠিক নয়। যেকোনো বয়সের নর-নারীই জীবনের যেকোনো সময়ে উচ্চ রক্তচাপে আক্রান্ত হতে পারেন। তবে বিভিন্ন কারণে চল্লিশোর্ধ্ব বয়সের নর-নারীর উচ্চ রক্তচাপে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বেশি। যেমন: অতিরিক্ত লবণ গ্রহণ, অতিরিক্ত ওজন, গর্ভকালীন সময়ে, কিডনি সমস্যায় ইত্যাদি ক্ষেত্রে উচ্চ রক্তচাপ হতে পারে। তাই নিয়মিত রক্তচাপ পরীক্ষা করা উচিত এবং সতর্ক থাকা উচিত।  ডা. মফিজুল হক খান, মেডিসিন বিভাগ শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল।

প্রশ্ন: কর্মজীবী মায়েরা শিশুর জন্য বুকের দুধ বাড়িতে রেখে গেলে তা কতক্ষণ পর্যন্ত খাওয়ানো যাবে ?


উত্তর: কর্মজীবী মায়েরা বাইরে যাওয়ার সময় শিশুর জন্য বুকের দুধ নিঃসৃত করে ঢাকনা দেওয়া পরিষ্কার বাটিতে রেখে যেতে পারেন। স্বাভাবিক তাপমাত্রায় আট ঘণ্টা পর্যন্ত এটি ভালো থাকবে ও বাটি চামচ ব্যবহার করে শিশুকে খাওয়ানো যাবে। কোনো অবস্থায়ই ফিডার বোতল ব্যবহার করা যাবে না। রেফ্রিজারেটরে রাখলে চব্বিশ ঘণ্টা পর্যন্ত ভালো রাখা যায়, তবে অবশ্যই খাওয়ানোর বেশ আগে বের করে নিতে হবে।
 ডা. প্রণব কুমার চৌধুরী শিশুরোগ বিভাগ, চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল।

প্রশ্ন: রাতের খাবার খেয়েই বা অল্প সময় পরই ঘুমানো কি স্বাস্থ্যকর ?


উত্তর: খেয়েই সঙ্গে সঙ্গে ঘুমানো সেটা দুপুর কিংবা রাত হোক, কখনোই স্বাস্থ্যকর নয়। খাবার খেয়ে সঙ্গে সঙ্গে না শুয়ে ১৫-২০ মিনিট বসে থাকা বা হাঁটাহাঁটি করা উচিত। রাতে ঘুমানোর প্রায় দুই ঘণ্টা আগে খাবার খাওয়া উচিত। আরও ভালো হয় মাঝরাত বা দেরি করে খাবার না খেয়ে আগেই খাবার খাওয়া। এতে রাতের খাবার হজম ভালো হয় ও হজমশক্তিও ভালো থাকে। 


আখতারুন নাহার, প্রধান পুষ্টিবিদ, বারডেম হাসপাতাল।

দাঁতের পোকা আসলে কী ?


     
দাঁতের ক্ষয় বা গর্ত হওয়াকে অনেকেই দাঁতের পোকা বলে 
 আমাদের দেশে দাঁতের ক্ষয় বা গর্ত হওয়াকে অনেকেই দাঁতের পোকা বলে। কিন্তু বিজ্ঞানীরা শত চেষ্টায়ও দাঁতের পোকার অস্তিত্ব খুঁজে পাননি।
তাহলে দাঁতের এই পোকা আসলে কী? সাধারণত চিনি বা মিষ্টিজাতীয় খাদ্য আমাদের মুখের ভেতরে একধরনের জীবাণুর সঙ্গে মিশে অ্যাসিড তৈরি করে। এই অ্যাসিড দাঁতের ওপরের শক্ত আবরণ এনামেলকে ক্ষয় করে এবং পরে গর্তের সৃষ্টি করে। এ রোগের নাম ডেন্টাল ক্যারিজ।
চিনিমিশ্রিত দুধ বা অন্যান্য মিষ্টিজাতীয় খাদ্য গ্রহণের পর দাঁতের গায়ে এনামেলের ওপর যে আবরণ সৃষ্টি হয়, তার নাম পেলিক্যাল। এই পেলিক্যালকেই বলা হয় ডেন্টাল প্ল্যাক বা দন্তমল। লাখ লাখ জীবাণুযুক্ত দন্তমলই শিশুদের ডেন্টাল ক্যারিজ বা দাঁত ক্ষয় রোগের প্রধান কারণ।
শিশুদের দাঁত ওঠার পর যেকোনো সময় দাঁত ক্ষয় হতে পারে। এ থেকে ঘন ঘন জ্বর, দাঁতব্যথা, টনসিলের প্রদাহ ইত্যাদি হয়। দাঁতে পোকা হওয়া সত্যি শিশুদের জন্য বড় একটি সমস্যা।
রক্ষা পাওয়ার উপায়
দাঁত শক্ত ব্রাশ দিয়ে জোরে জোরে ঘষলেই দন্তমল পরিষ্কার হয় না। এর জন্য সঠিক পদ্ধতিতে দাঁত ও মাড়ি ব্রাশ করার নির্দিষ্ট নিয়ম রয়েছে। অর্থাৎ, দাঁত ও মাড়ির ওপর-নিচে ও চারপাশে সঠিক পদ্ধতিতে নিয়মিত দুবেলা পরিষ্কার করতে হবে যেন খাদ্যদ্রব্য এর গায়ে বা মাড়ির ফাঁকে লেগে না থাকে।
দাঁত ও মাড়ি পরিষ্কার না থাকলে বহুদিন জমে থাকা দন্তমল নরম মাড়িতে প্রদাহ সৃষ্টি করতে পারে এবং সামান্য আঘাতেই রক্ত বের হয়ে আসতে পারে। কোনো কিছু দেখা বা বোঝার আগেই এই প্রদাহ শুরু হয়ে যেতে পারে। তাই হঠাৎ একদিন সকালে দাঁত ব্রাশ করার সময় শিশু দাঁতব্যথায় কাঁদতে শুরু করলে অবাক হওয়ার কিছু নেই। যেসব শিশু ফিডার দিয়ে দুধ খায় বা ঘুমের মধ্যেও ফিডার মুখে দিয়ে রাখে, তাদের মধ্যে দাঁত ক্ষয় বেশি হয়।
শিশুদের চিনিজাতীয় বা মিষ্টি খাদ্য খাওয়ার পর কুলকুচা করা বা প্রয়োজনে দাঁত ব্রাশ করার অভ্যাস করান। সঠিক পদ্ধতিতে দাঁত ব্রাশ করতে শেখান। বেশির ভাগ ডেন্টাল ক্যারিজ খালি চোখে দেখা যায় না। ব্যথা শুরু হলেই চিকিৎসক দেখানো ছাড়া নিয়মিত মুখ ও দাঁত পরীক্ষা করানো উচিত; বছরে অন্তত দুবার।
দুধদাঁত পড়ে যাবে বলে অনেকের ধারণা, এর বেশি যত্ন নেওয়ার দরকার নেই। কিন্তু দুধদাঁত সুস্থভাবে না পড়লে স্থায়ী দাঁত সঠিক অবস্থানে আসে না।  বারডেম হাসপাতাল।

মধুতে আছে ১৮১ উপকারী ভেষজ........

সেই প্রাচীনকাল থেকে ঠান্ডা-কাশি সারাতে কবিরাজ-বদ্যিরা মধু ব্যবহার করে আসছেন। আমাদের দেশে শিশুদের ঠান্ডা লাগলে মধু, তুলসীর রস, আদার রস ইত্যাদির মিশ্রণ একটি উপকারী ওষুধ হিসেবে ব্যবহূত হয়। কিন্তু আসলেই মধু কাশি কমাতে সহায়ক কি না তা নিয়ে বিজ্ঞানভিত্তিক গবেষণা কখনো করা হয়নি।
২০১২ সালে এ নিয়ে একটি বৃহৎ গবেষণার পর সম্প্রতি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ও আমেরিকান পেডিয়াট্রিক সোসাইটি শিশুদের কাশি প্রশমনে মধু ব্যবহার করার পক্ষে মত দিয়েছে। বিজ্ঞানীরা বলছেন, মধুতে অন্তত ১৮১ রকমের উপকারী ভেষজ উপাদান রয়েছে। এর অনেকগুলোই অ্যান্টি অক্সিডেন্ট ও জীবাণুরোধী বলে সংক্রমণ ঠেকাতে ও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে।
মধু গেলার পর পরই গলা ও শ্বাসতন্ত্রের ঝিল্লির ওপর একটি জীবাণুরোধী আবরণ তৈরি করে। এতে জীবাণুর আক্রমণ থেকে ঝিল্লি বাঁচে। তাছাড়া গলার অনুভূতিবাহক স্নায়ুর কাজকর্মের ওপরও প্রভাব বিস্তার করে, ফলে খুসখুসে কাশি ও অস্বস্তিভাব থেকে রেহাই দেয়। জীবাণুরোধক উপাদান থাকার জন্য অনেক আগে থেকেই শল্য চিকিৎসকেরা ঘা বা ক্ষতস্থানের ড্রেসিংয়ে মধু ব্যবহার করে আসছেন। তবে কাশি প্রশমনে মধু ব্যবহার করার সময় দুটি বিষয়ের দিকে খেয়াল রাখা উচিত। এক. এক বছরের কম বয়সী শিশুদের জন্য এই পরামর্শ প্রণিধানযোগ্য নয়; দুই. মধু ঠিকভাবে সংরক্ষণ না করা হলে এ থেকে বটুলিনাম বিষক্রিয়া হতে পারে। এবিসি হেলথ।

অ্যালার্জিতে নাভিশ্বাস!

 
     
অ্যালার্জি 
অ্যালার্জির কারণে অনেকেরই নাভিশ্বাস হতে হয়। হাঁচি-কাশি, নাক দিয়ে পানি পড়া থেকে শুরু করে খাদ্য ও ওষুধের জন্য মারাত্মক প্রতিক্রিয়া, শ্বাসকষ্ট বা ত্বকে দানা বা চাকা হতে পারে অ্যালার্জির কারণে। এমনকি কখনো রোগী জ্ঞান হারাতে পারে। তাই অ্যালার্জিকে ছোট করে দেখা ঠিক নয়।
লক্ষণ
ঘরের ধুলাবালি পরিষ্কার করছেন, হঠাৎ করে শুরু হলো হাঁচি বা শ্বাসকষ্ট। কেউ হয়তো বেড়াতে গেছেন পার্কে, ফুলের রেণু নাকে যেতেই দম আটকে আসতে চাইল। গরুর মাংস, চিংড়ি, ইলিশ মাছ, দুধ খেলেই কারও শুরু হয় চুলকানি বা লাল লাল চাকা হয়ে ফুলে ওঠে চামড়া। এগুলোই অ্যালার্জির লক্ষণ।
কেন হয়?
সাধারণত বস্তুবিশেষের প্রতি অতি সংবেদনশীলতার প্রবণতা মানুষ পরিবার থেকেই পেয়ে থাকে। যেসব শিশু জন্মের পর মাতৃদুগ্ধ পান করেনি, তাদের এই সমস্য বেশি। অ্যালার্জি থাকলে ওই বিশেষ পদার্থের সংস্পর্শে এলেই রক্তে অবস্থিত বিশেষ কোষ থেকে প্রচুর পরিমাণে হিস্টামিন, সেরোটনিন ইত্যাদি রাসায়নিক পদার্থ নিঃসৃত হতে থাকে। এই পদার্থগুলো দ্রুত সারা শরীরে ছড়িয়ে পড়ে ও নানা উপসর্গ তৈরি করে। যেমন কাশি, হাঁচি, চুলকানি, শ্বাসকষ্ট ইত্যাদি। কখনো রক্তচাপ কমিয়ে দিয়ে বিপদ ঘটাতে পারে।
চিকিৎসা
অ্যালার্জি হয় এমন বস্তু বা দ্রব্য থেকে সযত্নে নিজেকে দূরে রাখতে হবে। অ্যালার্জির প্রকোপ কমাতে বিভিন্ন ধরনের ওষুধ ব্যবহূত হয়, বিশেষ ও জরুরি পরিস্থিতিতে ইনজেকশনও দরকার হয়। এ ছাড়া রয়েছে ভ্যাকসিন বা ইমুনোথেরাপি।
সত্যিকার অর্থে অ্যালার্জির কোনো সুনির্দিষ্ট ও স্থায়ী চিকিৎসা নেই। ওষুধ দিয়ে উপসর্গ কিছু দিন দমিয়ে রাখা যায়। কিন্তু ওষুধ বন্ধ করলেই আবার শুরু হয়।
তবে ভ্যাকসিন বা ইমুনোথেরাপি এমন একটি পদ্ধতি, যেখানে স্বল্পমাত্রা থেকে পর্যায়ক্রমে উচ্চতর মাত্রায় অ্যালার্জেন (যে বস্তুর মাধ্যমে রোগীর শরীরে উপসর্গ দেখা দেয়) রোগীর শরীরে প্রবেশ করানো হয়, যাতে পরে ওই বস্তুর প্রতি সংবেদনশীলতা কমে যায়।
অ্যালার্জিজনিত হাঁপানি (অ্যাজমা), অ্যালার্জিক রাইনাইটিস ও অ্যালার্জিক কনজাংটিভাইটিসের ক্ষেত্রে এই ভ্যাকসিন অত্যন্ত কার্যকর বলে প্রমাণিত হয়েছে।  বিভাগীয় প্রধান অ্যালার্জি ও ক্লিনিক্যাল ইমিউনোলজি বিভাগ, শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল।

হলদে রোগের কথা .......


খুব পরিচিত রোগ জন্ডিস। কিন্তু জন্ডিস-আক্রান্ত ব্যক্তিদের প্রয়োজন বাড়তি যত্ন। এ বিষয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের হেপাটোলজি (লিভার) বিভাগের অধ্যাপক সেলিমুর রহমান বলেন, ‘আমাদের দেশে মূলত ভাইরাসজনিত কারণে জন্ডিস হয়ে থাকে। জন্ডিসের অন্যতম কারণ হলো, পিত্তনালিতে পাথর বা অন্য কিছুর কারণে বাধা সৃষ্টি হওয়া। মদ্যপান, লিভার ক্যানসার কিংবা লিভার সিরোসিসের কারণেও এটি হতে পারে। অনেক সময় ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রয়ার কারণে হয়। রক্তকণিকার কিছু জন্মগত সমস্যার কারণেও হতে পারে।’

কীভাবে বুঝবেন জন্ডিস হয়েছে
ক্ষুধামান্দ্য, বমি বমি ভাব, জ্বর জ্বর লাগা, শরীরে ব্যথা, প্রস্রাব হলুদ হওয়া, চোখ হলুদ হয়ে যাওয়া, জন্ডিসের মাত্রা বেশি হলে হলুদ হয়ে যেতে পারে পুরো শরীর এবং পিত্তনালিতে বাধাজনিত কারণে জন্ডিস হলে সঙ্গে চুলকানি থাকতে পারে।


জন্ডিস প্রতিকারে প্রতিরোধে
কারণ বুঝে এই রোগের রোগীকে চিকিৎসা করতে হবে। রোগীকে স্বাভাবিক খাবার দিন। জন্ডিস ভালো হয়ে না যাওয়া পর্যন্ত বিশ্রামে থাকতে হবে। পানি ফুটিয়ে পান করুন। অস্বাস্থ্যকর খাবার খাবেন না। ব্যবহূত সুই-সিরিঞ্জ পুনরায় ব্যবহার করবেন না। যদি কোনো কারণে রক্ত নেওয়ার প্রয়োজন হয়, তাহলে সেটিতে হেপাটাইটিস বি ও সি-এর জীবাণু আছে কি না, তা পরীক্ষা করিয়ে নিন। হেপাটাইটিস বি ও এ-এর প্রতিষেধক নিন। আর দাঁতের চিকিৎসায় ব্যবহূত যন্ত্রগুলোকেও হতে হবে জীবাণুমুক্ত। বেশির ভাগ জন্ডিস রোগীরই এর চেয়ে বেশি কোনো চিকিৎসার প্রয়োজন হয় না। তবে কোনো কোনো রোগীর অন্য চিকিৎসা প্রয়োজন হতে পারে, তাই জন্ডিস দেখা দিলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।


জেনে নিন বিপদচিহ্ন
 খুব বেশি জ্বর আসা
 খেলেই বমি করা
 বড় ধরনের আচরণগত পরিবর্তন


যেসব জটিলতা হতে পারে
সাধারণত জন্ডিস থেকে তেমন কোনো জটিলতা হয় না। তবে কোনো কোনো ক্ষেত্রে মস্তিষ্কে সমস্যা হতে পারে, অসুবিধা হতে পারে কিডনিতেও। হেপাটাইটিস বি এবং সি ভাইরাসের সংক্রমণে জন্ডিস হলে কারও কারও লিভার সিরোসিস ও লিভার ক্যানসার হতে পারে।

 
জন্ডিসের ঝুঁকিতে আছেন যাঁরা
যাঁরা ইনজেকশন, সিরিঞ্জ প্রভৃতি নিয়ে কাজ করেন, যেমন চিকিৎসক, সেবিকা ও প্যারামেডিকরা রয়েছেন এই ঝুঁকিতে। আর মাদকাসক্তরা তো রয়েছেনই। যাঁরা অস্বাস্থ্যকর খাবার খান এবং পানি না ফুটিয়েই পান করেন, তাঁরাও রয়েছেন এই রোগের ঝুঁকিতে।

শিশুর নাক ডাকা নিয়ে চিন্তিত ?

     
শিশুদেরও নাক ডাকে। যখন ঘুমের মধ্যে কারও নাক ও মুখ দিয়ে বাতাস স্বতঃস্ফূর্তভাবে চলাচল করতে পারে না, তখন জিভ, গলা গহ্বরের ওপরিভাগ বা প্যালেট এমনকি টনসিল, এডিনয়েড গ্রন্থিতে বায়ু ধাক্কা বা ঘুরপাক খেয়ে শব্দ উৎপন্ন হয়।
ফলে ঘুমের মধ্যে নাক দিয়ে বিচিত্র আওয়াজ বেরোয়।
নাক ডাকার কারণ
 

 শিশুদের ক্ষেত্রে নাক ডাকার অন্যতম কারণ নাক বন্ধ হয়ে যাওয়া বা নাক জ্যাম হয়ে যাওয়া। ঠান্ডা লাগলে বা অ্যালার্জিতে এই ঘটনা ঘটে।
 

 সাইনাস সমস্যায় বা প্রদাহে ঝুমঝুমি বাজার মতো শব্দ উৎপাদন করে।
 

 নাসিকাপর্দা বাঁকা থাকলে বা দুই নাকের মধ্যবর্তী দেয়াল বেশি বেঁকে থাকলেও নাকে শব্দ হয়। জন্মগতভাবেই এমন থাকতে পারে।
 

 টনসিল ও নাকের পেছনে গলার ওপর দিকে এডিনয়েড গ্রন্থি নানা প্রদাহ বা সংক্রমণে বড় হয়ে গেলে শ্বাসকষ্ট বা নাকে শব্দ হয়।
 

 অতিরিক্ত ওজনের কারণে গলায় বায়ু চলাচলের পথ সংকীর্ণ হয়ে আসে। স্থূল শিশুদের নাক ডাকে।
 

 শিশুদেরও স্লিপ অ্যাপনিয়া হয়। এতে শিশুর রাতের বেলা স্বল্পকালীন শ্বাসরোধ হয় ও আবার ঠিক হয়। ফলে ঘুমের ব্যাঘাত ঘটে, দিনের বেলায় স্কুলে মনঃসংযোগ দিতে পারে না। খিটখিটে মেজাজের হয়ে যায়। তীব্র মাথা ব্যথায় ভোগে।
 

সমস্যার সমাধান
 

 বিছানার মাথার দিক কয়েক ইঞ্চি উঁচুতে রাখা উচিত।
 

 চিত না হয়ে বরং এক কাত হয়ে শোয়ার অভ্যাস গড়ে তুলুন।
 

 ঘুমানোর আগে বেশি ভরপেট না-খাওয়া ভালো। শিশুর খাবার ঘুমের অন্তত এক ঘণ্টা আগেই শেষ করুন।
 

 অ্যালার্জি বা ঠান্ডা লাগা থেকে প্রতিরোধ করুন। লবণপানির দ্রবণ দিয়ে নাক পরিষ্কার করে দিন।
 

 স্থূলকায় হলে ওজন কমানোর জন্য সচেষ্ট হোন।
 

 নাক বাঁকা, এডিনয়েড, টনসিল বা স্লিপ অ্যাপনিয়ার সমস্যা থাকলে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী স্থায়ী সমাধানের চেষ্টা করুন। কেননা এগুলো কেবল নাক ডাকা সমস্যা নয়, বরং শিশুর বিকাশকেও ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে। 

ক্লান্তি এড়াতে ফল খান


আমাদের দেহের ৬০ শতাংশই পানি। প্রতিদিন প্রস্রাব, ঘাম, শ্বাস-প্রশ্বাস ইত্যাদির মাধ্যমে আমরা শরীর থেকে প্রচুর পানি হারাই। এই পানি আবার পূরণ করতে হয়। পানি পান করা ছাড়া দৈনিক ২০ শতাংশ পানির চাহিদা পূরণ হয় বিভিন্ন খাবার থেকে।
গ্রীষ্মকালে ঘাম বেশি হয় বলে পানির চাহিদাও বাড়ে। আর সময়ই এমন কিছু ফল পাওয়া যায়, যেগুলোতে আছে প্রচুর পরিমাণ পানি। গবেষণা বলছে, কায়িক পরিশ্রম বা ব্যায়ামের পর এক গ্লাস পানি খেয়ে যে পরিমাণ পানিশূন্যতা দূর হয়, তার চেয়েও বেশি উপকারিতা পেতে পারেন তরমুজ বা শশা খেয়ে। তবে পানির পরিমাণ নির্ভর করে ফল কিংবা সবজির জাতের ওপর।
তরমুজ স্ট্রবেরিতে ৯০ শতাংশের বেশি পানি রয়েছে। কমলা, মালটা আনারসে রয়েছে ৮৭ শতাংশ পানি। জামে ৮৫ শতাংশ, আপেল পেয়ারায় ৮৪ শতাংশ এবং আঙুরে রয়েছে ৯১ শতাংশ পানি। সবজির মধ্যে শশা লেটুসে পানির পরিমাণ ৯৬ শতাংশ, টমেটোতে ৯৫ শতাংশ। গাজর, মটরশুঁটিতেও পানির পরিমাণ যথেষ্ট। গরমের দিনে প্রচুর পানি পান করার পাশাপাশি এসব ফল সবজি খেলে শরীর সহজে ক্লান্ত হবে না পানিশূন্যতা রোধ করা যাবে।

গর্ভাবস্থায় উচ্চ রক্তচাপ


আমাদের দেশে গর্ভকালীন উচ্চ রক্তচাপ এবং এর কারণে সৃষ্ট জটিলতা হলো মাতৃমৃত্যু ও শিশুমৃত্যুর একটি অন্যতম কারণ। ৫ থেকে ১৫ শতাংশ মা গর্ভকালীন উচ্চ রক্তচাপের সমস্যায় ভোগেন। তীব্রতা ও জটিলতা অনুযায়ী এটি কয়েক রকমের হতে পারে:

গর্ভাবস্থায় উচ্চ রক্তচাপ: গর্ভকালীন উচ্চ রক্তচাপে আক্রান্ত, কিন্তু প্রস্রাবের সঙ্গে আমিষ যাওয়া বা অন্য কোনো জটিলতা নেই।
 

প্রি একলাম্পশিয়া: উচ্চ রক্তচাপের সঙ্গে প্রস্রাবে আমিষ গেলে পরিস্থিতি একটু জটিল হয়ে পড়ে। এটি প্রি একলাম্পশিয়া।
 

একলাম্পশিয়া: উচ্চ রক্তচাপ ও প্রস্রাবে আমিষ বেরোনোর সঙ্গে যখন খিঁচুনি শুরু হয়, রোগী জ্ঞান হারায়, ফুসফুসে পানি জমে, কিডনি কার্যকারিতা হারায় এমনকি মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ ইত্যাদি মারাত্মক জটিলতাও দেখা দিতে পারে। এটি একলাম্পশিয়া।
 

কারণ ও ঝুঁকি
স্থূলতা ও পরিবারে উচ্চ রক্তচাপের ইতিহাস এই সমস্যার একটি অন্যতম ঝুঁকি। সাধারণত প্রথম সন্তানের সময় এটি দেখা দেয়। গর্ভধারণের পর স্বাভাবিকভাবে প্লাসেন্টা বা ফুলের রক্তনালি প্রসারিত হয়ে রক্ত চলাচল বাড়িয়ে দেয়। কোনো কারণে এই প্রসারণ বা রক্ত চলাচল ব্যাহত হলে রক্তচাপ বেড়ে যায়।
 

সতর্কতা জরুরি
গর্ভাবস্থায় প্রতিবার চিকিৎসকের কাছে বা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে চেকআপের জন্য গেলে অবশ্যই নিয়মিত রক্তচাপ পরিমাপ করা জরুরি। ওজন অতিরিক্ত বেড়ে যাওয়া, হাতে-পায়ে পানি আসা, মাথা ও ঘাড়ে ব্যথা, চোখে ঝাপসা দেখা ইত্যাদি উপসর্গ দেখা দিলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হোন ও রক্তচাপ মাপুন। খাবারে অতিরিক্ত লবণ ও পাতে কাঁচা লবণ এড়িয়ে চলুন। গর্ভাবস্থায় সব ধরনের ওষুধ খাওয়া যায় না, তাই উচ্চ রক্তচাপের ওষুধ খেতে হলে অবশ্যই চিকৎসকের পরামর্শ নিন।
যাঁদের উচ্চ রক্তচাপ ধরা পড়েছে, তাঁরা নিয়মিত রক্তচাপ মাপুন এবং প্রস্রাবে আমিষ যাচ্ছে কি না, পরীক্ষা করুন। উচ্চ রক্তচাপ থাকলে গর্ভস্থ শিশুর বৃদ্ধি ব্যাহত হয়, কম ওজনের শিশু হয়, কখনো নির্ধারিত সময়ের আগেই জন্ম নেয়। তাই এই সন্তান প্রসব হাসপাতালেই করা উচিত।

 স্ত্রীরোগ ও প্রসূতিবিদ্যা বিভাগ, বারডেম হাসপাতাল।

প্রশ্ন: বারবার মাথা ন্যাড়া করলে শিশুদের চুল কি ঘন হয়ে ওঠে ?


উত্তর: এই ধারণার বৈজ্ঞানিক ভিত্তি খুব একটা নেই। তবে জন্মের পর একবার মাথা ন্যাড়া করা হলে চুলের ফলিকল একের জায়গায় একাধিক হয় এবং সঠিক দিকে বেড়ে ওঠার নির্দেশনা পায়। এতে হয়তো খানিকটা উপকার হয়। কিন্তু ছোটবেলায় বারবার চুল ফেলে দেওয়া হলে পরবর্তী সময়ে চুল ঘন হয় বা সুন্দর হয়—এই ধারণা ঠিক নয়। তবে চুলের স্বাস্থ্য রক্ষায় ফাটা আগা মাঝেমধ্যে ছাঁটা উচিত।

গোড়ালির ব্যথা?

পায়ের যত্ন নিতে হবে নিয়মিত৷ মডেল:অগ্নিলা । ছবি: অধুনা 

হাঁটতে গেলেই টের পাচ্ছেন পায়ের গোড়ালিতে বেশ ব্যথা। অনেকটা কাঁটা বিঁধলে যে রকম হয় তেমন। আবার শীতে তো বটেই, সারা বছর পা ফাটার সমস্যা আছে। এ বিষয়ে নানা পরামর্শ দিয়েছেন জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠানের (পঙ্গু হাসপাতাল) সহকারী অধ্যাপক মনিরুল হক।

কেন হয় গোড়ালিতে ব্যথা?
অধিকাংশ ক্ষেত্রেই এ ধরনের ব্যথার নির্দিষ্ট কোনো কারণ থাকে না। তবে ক্যালকেনিয়ান স্পার ও প্যান্টার ফাসাইটিস নামক অসুখে গোড়ালিতে ব্যথা হতে পারে। পুরু ব্যান্ডের মতো একটি অংশের সাহায্যে পায়ের গোড়ালির হাড় পায়ের পাতার অন্যান্য অংশের সঙ্গে লাগানো থাকে, সেই ব্যান্ডটি কোনোভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হলে ­প্যান্টার ফাসাইটিস নামক রোগ হয়। হাঁটতে গিয়ে বা দৌড়াতে গিয়ে বা কোনো কারণে হঠাৎ ব্যথা লেগে এমনটা হতে পারে। বয়সজনিত কারণেও কারও কারও এমন হয়। আর ক্যালকেনিয়ান স্পার নামক রোগটিতে পায়ের ক্যালকেনিয়াম নামক হাড়ে খানিকটা বাড়তি হাড় তৈরি হয়, যার ফলে গোড়ালিতে ব্যথা করতে পারে।

কাদের হয় গোড়ালির ব্যথা?
উচ্চতার তুলনায় ওজন বেশি এবং যাঁরা ডায়াবেটিসে ভুগছেন, সাধারণত তাঁদেরই এ ধরনের ব্যথা বেশি হয়ে থাকে। মেয়েদের মধ্যে এ ধরনের সমস্যা বেশি হয়ে থাকে, তবে যে কেউই ভুগতে পারেন গোড়ালির ব্যথায়।

কী করবেন গোড়ালিতে ব্যথা হলে?
নরম স্যান্ডেল ব্যবহার করুন। এমন জুতো পরুন, যা আপনার গোড়ালিকে পায়ের আঙুলের থেকে কিছুটা উঁচুতে রাখবে। ব্যথা কমানোর জন্য ব্যথানাশক ওষুধ খাওয়া যেতে পারে। আক্রান্ত স্থানে গরম সেঁক দিতে পারেন। সমস্যা বেশি মনে হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। প্রয়োজনে আপনাকে ফিজিওথেরাপি নিতে হতে পারে।

পায়ের গোড়ালি অতিরিক্ত ফাটছে?
শীতকালে অনেকেরই গোড়ালি ফাটে। কারও কারও আবার সারা বছরই গোড়ালি ফাটার সমস্যা থাকে। ফাটা গোড়ালির কারণেও হতে পারে ব্যথা। ফাটা গোড়ালি সহজেই জীবাণুর দ্বারা সংক্রমণ হতে পারে। এটি প্রতিরোধ করতে পা পরিষ্কার রাখতে হবে। পায়ের গোড়ালিতে ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করতে হবে।
 
কিছু সতর্কতা
ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখুন। উচ্চতার তুলনায় যদি আপনার ওজন বেশি থাকে, তাহলে তা কমাতে চেষ্টা করুন। খাদ্যাভ্যাস ও জীবনযাত্রা পরিবর্তনের মাধ্যমে অতিরিক্ত ওজন কমিয়ে ফেলুন। নিয়মিত ব্যায়াম করুন। আরামদায়ক জুতা ব্যবহার করতে হবে।

কিডনির সুরক্ষায়...

কিডনি  সুরক্ষায় পানি খেতে হবে। মডেল: ইন্দ্রাণি। ছবি: খালেদ সরকার 


কেন হয় কিডনির রোগ?কিডনি রোগের প্রধানতম কারণ কিডনির প্রদাহ। উচ্চরক্তচাপ ও ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে না থাকলে তা থেকেও হতে পারে এই রোগ। আবার যাঁদের রক্তচাপ অতিরিক্ত কম থাকে, তাঁদেরও হঠাৎ বিকল হয়ে যেতে পারে কিডনি। তবে এ ক্ষেত্রে রোগটি সহজে নিরাময়যোগ্য।

কীভাবে বুঝবেন কিডনির সমস্যা?কিডনির রোগীদের শারীরিক দুর্বলতা, ক্ষুধামন্দা, বমি, পায়ে পানি আসা—এ ধরনের সমস্যা হতে পারে। তবে বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই শুরুর দিকে তেমন কোনো লক্ষণ থাকে না। যখন সমস্যা দেখা দেয়, তখন হয়তো দুটি কিডনিই সম্পূর্ণভাবে নষ্ট হয়ে যায় এবং তা থেকে নিরাময়ের জন্য তেমন কিছু করার থাকে না। তাই কিডনি ভালো আছে কি না তা পরীক্ষা-নিরীক্ষার মাধ্যমে জেনে নেওয়া উচিত। এসব পরীক্ষা-নিরীক্ষার মধ্যে রয়েছে প্রস্রাব পরীক্ষা ও রক্তে ক্রিয়েটিনিনের পরিমাণ নির্ণয় করা।

যাঁরা কিডনির সমস্যায় ভুগছেন
প্রোটিনসমৃদ্ধ খাবার খেতে হবে পরিমাণমতো। প্রতিদিন একটি ডিমের সাদা অংশ, দুই টুকরো মাছ এবং দুই টুকরো মুরগির মাংস খাবেন। আমিষসমৃদ্ধ খাবার এর চেয়ে বেশি খাওয়া যাবে না। কামরাঙা খাওয়া চলবে না একদমই। এটি আপনার কিডনিকে আরও ক্ষতিগ্রস্ত করবে। যাঁদের কিডনির সমস্যা খুব বেশি, তাঁদের অন্যান্য ফলের ব্যাপারেও রয়েছে নিষেধাজ্ঞা। অনেকের পা ফুলে যায়, তাঁরা এক দিনে এক লিটারের বেশি পানি পান করতে পারবেন না।

কারা রয়েছেন কিডনির রোগের ঝুঁকিতে?
বয়স্ক ব্যক্তিরা রয়েছেন ঝুঁকিতে। ৩৫ বছর বয়সের পর থেকে প্রতিবছরই কিডনির কার্যক্ষমতা কিছুটা কমতে থাকে। ৭০ বছর নাগাদ তা অত্যন্ত কমে যায়, আর তাই বেড়ে যায় কিডনির রোগের ঝুঁকি। যাঁদের ডায়াবেটিস ও উচ্চরক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে নেই, তাঁরাও রয়েছেন ঝুঁকিতে। আগুনে পোড়া, ডায়রিয়া বা অতিরিক্ত বমি হওয়ার কারণে রক্তচাপ কমে যায়, তখন কিডনি রোগ হওয়ার ঝুঁকি রয়েছে।

প্রতিরোধ করুন
পর্যাপ্ত পানি পান করুন। প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য দৈনিক আড়াই থেকে তিন লিটার পানি পান করা প্রয়োজন। আবার যাঁরা খুব বেশি দৈহিক পরিশ্রম করেন, তাঁদের প্রতিদিনের পানির চাহিদা আরও বেশি। আর যাঁদের প্রস্রাবে সংক্রমণ হয়, তাঁদের প্রচুর পানি পান করা উচিত। কামরাঙা খাওয়ার ব্যাপারে সচেতন থাকতে হবে। ডায়াবেটিস ও উচ্চরক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখুন। আপনার কিডনি ভালো আছে কি না তা জানার জন্য অন্তত একবার পরীক্ষা-নিরীক্ষা করান।

Afrooooooooooooooooooooooooooooooooooooooooooooooz

Drug Index

Social Icons

 
Blogger Templates