Pages

Subscribe:

Ads 468x60px

Sunday, April 20, 2014

আঁশে আশা


আজকাল প্রায়ই মা-বাবাকে বলতে শোনা যায়, বাচ্চারা শুধু ফাস্টফুড খেতে চায়। বাড়িতে মাছ, শাকসবজি কিছু খায় না। কিন্তু বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, ধরনের খাদ্যাভ্যাস কারও শরীরের জন্যই ভালো নয়। সুস্বাস্থ্যের জন্য খাবারের তালিকায় আঁশযুক্ত খাবার থাকা উচিত।
প্রসঙ্গে বারডেম জেনারেল হাসপাতালের জ্যেষ্ঠ পুষ্টি কর্মকর্তা শামছুন্নাহার নাহিদ বলেন, আঁশযুক্ত খাবার রক্তের চর্বি শর্করার পরিমাণ কমায়। ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে ভূমিকা রাখে ধরনের খাবার। আবার শরীরে চর্বি জমতেও বাধা দেয়। হূদেরাগে আক্রান্তরা এবং যাঁদের রক্তে কোলেস্টেরলের পরিমাণ বেশি, তাঁদের জন্য আঁশযুক্ত খাবার উপকারী।
আঁশযুক্ত খাবার অল্প খেলে পেট ভরে যায়। এতে ক্যালরির পরিমাণ কম। তাই অতিরিক্ত ক্যালরিসমৃদ্ধ খাবার পরিমাণে বেশি খাবার খাওয়া থেকে বাঁচা যায়। যাঁদের ওজন বেশি, তাঁদের ওজন কমাতে কার্যকর আঁশযুক্ত খাবার। শুধু কি তাই, কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে ধরনের খাবার। নিয়মিত আঁশযুক্ত খাবার খেলে অন্ত্রের ক্যানসারের ঝুঁকিও কমবে।
শামছুন্নাহার নাহিদ আরও বলেন, সাধারণত দেখা যায়, যেসব খাবারে প্রচুর আঁশ থাকে, সেসব খাবারে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট সমপরিমাণে থাকে। কাজেই আঁশসমৃদ্ধ খাবার খেলে এত সব উপকারের পাশাপাশি পাবেন অ্যান্টি-অক্সিডেন্টের উপকারও

কোন কোন খাবারে আঁশ আছে
সাধারণত পুঁইশাক, পালংশাক, ডাঁটা শাক, কচুশাক, মুলাশাকসহ সব ধরনের শাকে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ আঁশ। ঢেঁকিছাঁটা চালও আঁশসমৃদ্ধ। ছাড়া শসা, ডাঁটা, শজনে, ঝিঙে, করলা, চিচিঙ্গা, ঢ্যাঁড়স, শিম, বরবটি, বাঁধাকপি, ফুলকপি, কলার মোচা আঁশযুক্ত সবজি। আঁশযুক্ত ফল হলো আপেল, পেয়ারা, বরই, জামরুল, জাম, আম, কাঁঠাল, বেল, কতবেল, আমড়া, আতা আমলকী।
কখন খাওয়া যাবে না
ডায়রিয়া খুব বেশি হলে আঁশযুক্ত খাবার খেতে সাময়িকভাবে নিষেধ করা হয়। ছাড়া ইরিটেবল বাওয়েল সিনড্রোম (আইবিএস) অর্থাৎ নির্দিষ্ট কোনো কারণ ছাড়া যাঁরা পেটের পীড়ায় ভুগছেন, তাঁদেরকেও কোন কোন ক্ষেত্রে ধরনের খাবার খেতে নিষেধ করা হয়। আর খেলেও সীমিত পরিমাণে খেতে হবে। আর পেট ব্যথা হলেও আঁশযুক্ত খাবার এড়িয়ে চলা ভালো। অ্যাসিডিটির সমস্যায় আক্রান্তরা ধরনের খাবার থেকে দূরে থাকবেন
Afrooz

0 comments:

Post a Comment

Afrooooooooooooooooooooooooooooooooooooooooooooooz

Drug Index

Social Icons

 
Blogger Templates