কীভাবে বুঝবেন জন্ডিস হয়েছে
ক্ষুধামান্দ্য, বমি বমি ভাব, জ্বর জ্বর লাগা, শরীরে ব্যথা, প্রস্রাব হলুদ হওয়া, চোখ হলুদ হয়ে যাওয়া, জন্ডিসের মাত্রা বেশি হলে হলুদ হয়ে যেতে পারে পুরো শরীর এবং পিত্তনালিতে বাধাজনিত কারণে জন্ডিস হলে সঙ্গে চুলকানি থাকতে পারে।
জন্ডিস প্রতিকারে প্রতিরোধে
কারণ বুঝে এই রোগের রোগীকে চিকিৎসা করতে হবে। রোগীকে স্বাভাবিক খাবার দিন। জন্ডিস ভালো হয়ে না যাওয়া পর্যন্ত বিশ্রামে থাকতে হবে। পানি ফুটিয়ে পান করুন। অস্বাস্থ্যকর খাবার খাবেন না। ব্যবহূত সুই-সিরিঞ্জ পুনরায় ব্যবহার করবেন না। যদি কোনো কারণে রক্ত নেওয়ার প্রয়োজন হয়, তাহলে সেটিতে হেপাটাইটিস বি ও সি-এর জীবাণু আছে কি না, তা পরীক্ষা করিয়ে নিন। হেপাটাইটিস বি ও এ-এর প্রতিষেধক নিন। আর দাঁতের চিকিৎসায় ব্যবহূত যন্ত্রগুলোকেও হতে হবে জীবাণুমুক্ত। বেশির ভাগ জন্ডিস রোগীরই এর চেয়ে বেশি কোনো চিকিৎসার প্রয়োজন হয় না। তবে কোনো কোনো রোগীর অন্য চিকিৎসা প্রয়োজন হতে পারে, তাই জন্ডিস দেখা দিলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
জেনে নিন বিপদচিহ্ন
খুব বেশি জ্বর আসা
খেলেই বমি করা
বড় ধরনের আচরণগত পরিবর্তন
যেসব জটিলতা হতে পারে
সাধারণত জন্ডিস থেকে তেমন কোনো জটিলতা হয় না। তবে কোনো কোনো ক্ষেত্রে মস্তিষ্কে সমস্যা হতে পারে, অসুবিধা হতে পারে কিডনিতেও। হেপাটাইটিস বি এবং সি ভাইরাসের সংক্রমণে জন্ডিস হলে কারও কারও লিভার সিরোসিস ও লিভার ক্যানসার হতে পারে।
জন্ডিসের ঝুঁকিতে আছেন যাঁরা
যাঁরা ইনজেকশন, সিরিঞ্জ প্রভৃতি নিয়ে কাজ করেন, যেমন চিকিৎসক, সেবিকা ও প্যারামেডিকরা রয়েছেন এই ঝুঁকিতে। আর মাদকাসক্তরা তো রয়েছেনই। যাঁরা অস্বাস্থ্যকর খাবার খান এবং পানি না ফুটিয়েই পান করেন, তাঁরাও রয়েছেন এই রোগের ঝুঁকিতে।
0 comments:
Post a Comment