কেন ফুলে যায় পা?
সুস্থ ব্যক্তির পা ফুলতে পারে দীর্ঘক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকা বা বসে থাকার কারণে। দীর্ঘপথ ভ্রমণের পর হতে পারে এমন সমস্যা। মেয়েদের ক্ষেত্রে গর্ভাবস্থায় বা কখনো কখনো মাসিকের সময়ও পা ফুলে যায়। হূদেরাগ, কিডনি বা লিভারের কোরো রোগ বা থাইরয়েড হরমোনের ঘাটতিজনিত অসুখ অথবা অপুষ্টির কারণেও অনেক সময় পা ফুলতে পারে, তবে সে ক্ষেত্রে পা ফোলার পাশাপাশি সেই সমস্যাটির অন্যান্য উপসর্গ থাকে। কিছু ওষুধ বিশেষ করে উচ্চরক্তচাপের বেশ কটি ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার ফলে পা ফুলতে পারে।
তবে বিশেষ কোনো রোগে পা ফুললে, তখন নানা ধরনের উপসর্গও দেখা যায়। কিডনির সমস্যা হলে সকালে ঘুম থেকে ওঠার পর চোখমুখ ফুলে থাকতে পারে, যা সারা দিনের শেষে প্রায় স্বাভাবিক হয়ে যায়। এ ক্ষেত্রে প্রস্রাবের পরিমাণ কমে যায় এবং প্রস্রাবের রং কিছুটা লালচে হতে পারে। হূদেরাগের ক্ষেত্রে শ্বাসকষ্ট থাকতে পারে। যকৃৎ (লিভার) রোগে চোখ ও প্রস্রাব হলুদ হয়ে যেতে পারে। থাইরয়েড হরমোনের ঘাটতিজনিত অসুখে ওজন বৃদ্ধি, পুরো শরীর ফুলে যাওয়া, সাম্প্রতিক স্মৃতি হারিয়ে ফেলা, কণ্ঠস্বরে পরিবর্তন ও কোষ্ঠকাঠিন্য থাকতে পারে।
চিকিৎসা
প্রথমে খুঁজতে হবে পা ফোলার কারণ। কারণ অনুযায়ী হবে চিকিৎসা। দীর্ঘক্ষণ দাঁড়ানো বা বসার কারণে পা ফুলে গেলে মাঝেমধ্যে দিতে হবে বিরতি। অফিসে দীর্ঘক্ষণ একটানা বসে কাজ করতে হলে পা রাখার জন্য একটু উঁচু কাঠের তক্তা রাখতে পারেন অফিসের টেবিলটির নিচে, ঠিক যেখানে আপনি পা রাখবেন। রাতে ঘুমানোর সময় পায়ের নিচে বালিশ রাখতে পারেন। মেয়েদের মাসিকের সময় পা ফুলে গেলে তা নিজে থেকেই ভালো হয়ে যায়। গর্ভাবস্থায় পা ফুলে গেলে তা নিয়ে দুশ্চিন্তার কিছু নেই। তবে গর্ভকালীন সময়ের শেষ কয়েক সপ্তাহে যদি পা ফুলে যায়, তাহলে রক্তচাপ পরিমাপ করা ও প্রস্রাব পরীক্ষা করা প্রয়োজন, তা না হলে সমস্যাটি সেখান থেকেই কোনো জীবননাশী সমস্যার দিকে অগ্রসর হতে পারে। আর যদি পা ফোলার কারণ হয় কোনো ওষুধ, তাহলে সেই ওষুধ খাওয়া বন্ধ করে দিতে হবে। তখন বিকল্প কোনো ওষুধ খেতে হবে।
পা ফোলা থেকে তেমন কোনো জটিলতা সাধারণত হয় না। তবে পা যদি অতিরিক্ত ফুলে যায়, তাহলে পানি ও লবণের মাত্রায় তারতম্যের কারণে বিভিন্ন সমস্যা হতে পারে।
0 comments:
Post a Comment