ফলে ঘুমের মধ্যে নাক দিয়ে বিচিত্র আওয়াজ বেরোয়।
নাক ডাকার কারণ
শিশুদের ক্ষেত্রে নাক ডাকার অন্যতম কারণ নাক বন্ধ হয়ে যাওয়া বা নাক জ্যাম হয়ে যাওয়া। ঠান্ডা লাগলে বা অ্যালার্জিতে এই ঘটনা ঘটে।
সাইনাস সমস্যায় বা প্রদাহে ঝুমঝুমি বাজার মতো শব্দ উৎপাদন করে।
নাসিকাপর্দা বাঁকা থাকলে বা দুই নাকের মধ্যবর্তী দেয়াল বেশি বেঁকে থাকলেও নাকে শব্দ হয়। জন্মগতভাবেই এমন থাকতে পারে।
টনসিল ও নাকের পেছনে গলার ওপর দিকে এডিনয়েড গ্রন্থি নানা প্রদাহ বা সংক্রমণে বড় হয়ে গেলে শ্বাসকষ্ট বা নাকে শব্দ হয়।
অতিরিক্ত ওজনের কারণে গলায় বায়ু চলাচলের পথ সংকীর্ণ হয়ে আসে। স্থূল শিশুদের নাক ডাকে।
শিশুদেরও স্লিপ অ্যাপনিয়া হয়। এতে শিশুর রাতের বেলা স্বল্পকালীন শ্বাসরোধ হয় ও আবার ঠিক হয়। ফলে ঘুমের ব্যাঘাত ঘটে, দিনের বেলায় স্কুলে মনঃসংযোগ দিতে পারে না। খিটখিটে মেজাজের হয়ে যায়। তীব্র মাথা ব্যথায় ভোগে।
সমস্যার সমাধান
বিছানার মাথার দিক কয়েক ইঞ্চি উঁচুতে রাখা উচিত।
চিত না হয়ে বরং এক কাত হয়ে শোয়ার অভ্যাস গড়ে তুলুন।
ঘুমানোর আগে বেশি ভরপেট না-খাওয়া ভালো। শিশুর খাবার ঘুমের অন্তত এক ঘণ্টা আগেই শেষ করুন।
অ্যালার্জি বা ঠান্ডা লাগা থেকে প্রতিরোধ করুন। লবণপানির দ্রবণ দিয়ে নাক পরিষ্কার করে দিন।
স্থূলকায় হলে ওজন কমানোর জন্য সচেষ্ট হোন।
নাক বাঁকা, এডিনয়েড, টনসিল বা স্লিপ অ্যাপনিয়ার সমস্যা থাকলে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী স্থায়ী সমাধানের চেষ্টা করুন। কেননা এগুলো কেবল নাক ডাকা সমস্যা নয়, বরং শিশুর বিকাশকেও ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে।
0 comments:
Post a Comment