বসন্তকাল নিয়ে আসে কিছু রোগবালাই। এর মধ্যে অন্যতম হলো জলবসন্ত বা চিকেন পক্স। এই সময়েই এর প্রাদুর্ভাব যাবে বেড়ে।
জলবসন্ত একটি ভাইরাসজনিত রোগ। দায়ী ভাইরাসটির নাম ভেরিসেলা জোসটার।
উপসর্গ
জলবসন্ত একটি ভাইরাসজনিত রোগ। দায়ী ভাইরাসটির নাম ভেরিসেলা জোসটার।
উপসর্গ
জলবসন্ত
সাধারণত শিশু বয়সের রোগ। দুই থেকে আট বছর বয়সীরা বেশি আক্রান্ত হয়। ভীষণ
ছোঁয়াচে, আক্রান্ত ব্যক্তির সংস্পর্শ থেকে ছড়ায় সরাসরিভাবে। হাঁচি-কাশির
সাহায্যে বাতাসে ভর করে। কখনো বা রোগীর ব্যবহূত সামগ্রীর মাধ্যমে। জীবাণু
দেহে প্রবেশের ১৪ থেকে ২১ দিনের মাথায় লক্ষণ প্রকাশ পায়। প্রথম কয় দিন
ক্লান্তি, মেজমেজে ভাব, জ্বর, মাথাব্যথা, গলাব্যথা—এসব উপসর্গ থাকে। তারপর
শরীরে দেখা দেয় দানাদার র্যাশ। ছোট শিশুদের অনেক সময় প্রাথমিক উপসর্গ
ছাড়াই সরাসরি র্যাশ দেখা দেয়। এই র্যাশ বেশ চুলকায়। জলভর্তি বা জল ছাড়া
লালচে বিভিন্ন প্রকারের র্যাশ রোগীর শরীরে একই সময় মেলে। বুকে-পিঠে হবে
বেশি। এ ছাড়া হতে পারে মুখগহ্বরের ভেতরে, চোখে, যোনিপথে, হাতে-পায়ের তালুতে
ও মাথায়।
ব
ব
সন্তের নানা রূপ
হেমোরেজিক চিকেন পক্স: জ্বর ও প্রাথমিক উপসর্গগুলো প্রবল থাকে। চামড়ার নিচে রক্তপাত ঘটায়। যেসব শিশু স্টেরয়েড বা সাইটোটক্সিক ওষুধ পাচ্ছে, তার জন্য হেমোরেজিক চিকেন পক্স এক অশনিসংকেত।
হেমোরেজিক চিকেন পক্স: জ্বর ও প্রাথমিক উপসর্গগুলো প্রবল থাকে। চামড়ার নিচে রক্তপাত ঘটায়। যেসব শিশু স্টেরয়েড বা সাইটোটক্সিক ওষুধ পাচ্ছে, তার জন্য হেমোরেজিক চিকেন পক্স এক অশনিসংকেত।
ভেরিসেলা গ্যাংগ্রিনোসা: উৎপত্তি ত্বকে, সেকেন্ডারি ব্যাকটেরিয়াঘটিত সংক্রমণের জন্য।
কনজেনিটাল ভেরিসেলা: গর্ভাবস্থার প্রথম তিন মাসে মায়ের জলবসন্ত হলে
গর্ভস্থ সন্তানের নানা জন্মগত ত্রুটির ঝুঁকি থাকে। একে বলে ‘কনজেনিটাল
ভেরিসেলা সিনড্রোম’।
ভেরিসেলা নিওনেটোরাম (নবজাতকের বসন্ত): যদি
প্রসবপূর্ব সাত দিনের মধ্যে বা প্রসবের দুই দিনের মধ্যে প্রসূতি মায়ের
জলবসন্ত হয়, তবে নবজাতকের মারাত্মক ধরনের জলবসন্ত হওয়ার আশঙ্কা থাকে। এই
শিশুর বিশেষ চিকিৎসা ও যত্ন দরকার।
জটিলতা
জলবসন্ত জটিল রোগ নয় ও আপনাতেই সেরে যায়। স্বাভাবিক শিশুর স্বাস্থ্যে তেমন গুরুতর সংকট সৃষ্টি করে না, বরং বয়স্কজনে তুলনামূলকভাবে এর জটিলতা বেশি। তবে শিশুর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম থাকলে বা অন্য কোনো রোগে আক্রান্ত থাকলে কিছু জটিলতা হতে পারে। যেমন সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়তে পারে সেপসিস হিসেবে, হতে পারে নিউমোনিয়া বা এনকাফালাইটিস।
চিকিৎসা
বসন্ত হলে শিশুর স্বাভাবিক খাবার চালিয়ে যান, পুষ্টি নিশ্চিত করুন। পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখুন, চুলকানি বা ব্যথার জন্য চিকিৎসকের পরামর্শমতো ওষুধ সেবন করানো যাবে।
কখনোই অ্যাসপিরিন-জাতীয় ওষুধ খাওয়ানো যাবে না। এতে ‘রিই সিনড্রোম’ নামক জটিল সমস্যা হতে পারে।
অ্যান্টিবায়োটিক আদৌ লাগবে কি না সে বিষয়ে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়াই ভালো। আক্রান্ত শিশুকে র্যাশ দেখা যাওয়ার ছয় দিন পর্যন্ত স্কুলে না পাঠানোই উচিত। শরীরে র্যাশ দেখা যাওয়ার দুই দিন আগে থেকে তিন থেকে সাত দিন পর পর্যন্ত রোগজীবাণু ছড়াতে পারে।
জটিলতা
জলবসন্ত জটিল রোগ নয় ও আপনাতেই সেরে যায়। স্বাভাবিক শিশুর স্বাস্থ্যে তেমন গুরুতর সংকট সৃষ্টি করে না, বরং বয়স্কজনে তুলনামূলকভাবে এর জটিলতা বেশি। তবে শিশুর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম থাকলে বা অন্য কোনো রোগে আক্রান্ত থাকলে কিছু জটিলতা হতে পারে। যেমন সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়তে পারে সেপসিস হিসেবে, হতে পারে নিউমোনিয়া বা এনকাফালাইটিস।
চিকিৎসা
বসন্ত হলে শিশুর স্বাভাবিক খাবার চালিয়ে যান, পুষ্টি নিশ্চিত করুন। পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখুন, চুলকানি বা ব্যথার জন্য চিকিৎসকের পরামর্শমতো ওষুধ সেবন করানো যাবে।
কখনোই অ্যাসপিরিন-জাতীয় ওষুধ খাওয়ানো যাবে না। এতে ‘রিই সিনড্রোম’ নামক জটিল সমস্যা হতে পারে।
অ্যান্টিবায়োটিক আদৌ লাগবে কি না সে বিষয়ে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়াই ভালো। আক্রান্ত শিশুকে র্যাশ দেখা যাওয়ার ছয় দিন পর্যন্ত স্কুলে না পাঠানোই উচিত। শরীরে র্যাশ দেখা যাওয়ার দুই দিন আগে থেকে তিন থেকে সাত দিন পর পর্যন্ত রোগজীবাণু ছড়াতে পারে।
টিকা
জলবসন্তের কার্যকর টিকা রয়েছে। দামি হলেও এটি নিরাপদ। ১২ থেকে ১৮ মাস বয়সের মধ্যে চিকেন পক্স ভ্যাকসিন শিশুকে দেওয়া হয়।
১২ বছর বয়স পর্যন্ত এক ডোজ, তার বেশি বয়সে দুই মাস অন্তর পরপর দুই ডোজ ভ্যাকসিন। সংস্পর্শ ঘটার ৭২ ঘণ্টার মধ্যে ভ্যাকসিন দেওয়া হলে ৮০ শতাংশ ক্ষেত্রে সুফল মেলে।
জলবসন্তের কার্যকর টিকা রয়েছে। দামি হলেও এটি নিরাপদ। ১২ থেকে ১৮ মাস বয়সের মধ্যে চিকেন পক্স ভ্যাকসিন শিশুকে দেওয়া হয়।
১২ বছর বয়স পর্যন্ত এক ডোজ, তার বেশি বয়সে দুই মাস অন্তর পরপর দুই ডোজ ভ্যাকসিন। সংস্পর্শ ঘটার ৭২ ঘণ্টার মধ্যে ভ্যাকসিন দেওয়া হলে ৮০ শতাংশ ক্ষেত্রে সুফল মেলে।
0 comments:
Post a Comment