বাড়িতে শিশুর ডায়রিয়ার চিকিৎসা
বাড়িতে শিশুর
ডায়রিয়ার চিকিৎসায়
চারটি বিষয়ে
লক্ষ রাখতে
হবে:
১. বারবার
তরল খাবার
- ঘন ঘন বুকের দুধ দিন
- শিশুর বয়স ছয় মাসের নিচে হলে বুকের দুধের পাশাপাশি ওরাল স্যালাইন বা নিরাপদ পানি দিন।
- শিশুর বয়স ছয় মাসের ওপর হলে এক বা একাধিক তরল খাবার খেতে দিন: যেমন ওরাল স্যালাইন, ভাতের মাড়, চিড়ার
পানি ইত্যাদি।
- প্রতিবার পাতলা পায়খানার পর স্বাভাবিক তরল খাবারের সঙ্গে অতিরিক্ত খাবারের পরিমাণ:
দুই বছর পর্যন্ত: ৫০ থেকে ১০০ মিলি।
দুই বছর বা বেশি: ১০০ থেকে ২০০ মিলি ।
- শিশু বমি করলে ১০ মিনিট অপেক্ষা করুন। তারপর আবার ধীরে ধীরে খাবার দিন।
- ডায়রিয়া বন্ধ না হওয়া পর্যন্ত অতিরিক্ত তরল খাবার চালু রাখুন।
- ঘন ঘন বুকের দুধ দিন
- শিশুর বয়স ছয় মাসের নিচে হলে বুকের দুধের পাশাপাশি ওরাল স্যালাইন বা নিরাপদ পানি দিন।
- শিশুর বয়স ছয় মাসের ওপর হলে এক বা একাধিক তরল খাবার খেতে দিন: যেমন ওরাল স্যালাইন, ভাতের মাড়, চিড়ার
পানি ইত্যাদি।
- প্রতিবার পাতলা পায়খানার পর স্বাভাবিক তরল খাবারের সঙ্গে অতিরিক্ত খাবারের পরিমাণ:
দুই বছর পর্যন্ত: ৫০ থেকে ১০০ মিলি।
দুই বছর বা বেশি: ১০০ থেকে ২০০ মিলি ।
- শিশু বমি করলে ১০ মিনিট অপেক্ষা করুন। তারপর আবার ধীরে ধীরে খাবার দিন।
- ডায়রিয়া বন্ধ না হওয়া পর্যন্ত অতিরিক্ত তরল খাবার চালু রাখুন।
২. জিংক
বড়ি
- জিংক বড়ি ডায়রিয়ার তীব্রতা ও স্থায়িত্ব দুটোই কমায়। ডায়রিয়া শুরুর দিন বা পরদিন থেকেই জিংক শুরু করা যায়।
- দুই মাস থেকে ছয় মাস পর্যন্ত: এক বড়ি (১০ মিগ্রা) প্রতিদিন, ১০ দিন।
- ছয় মাস থেকে পাঁচ বছর পর্যন্ত: এক বড়ি (২০ মিগ্রা) প্রতিদিন, ১০ দিন।
- কীভাবে খাওয়াতে হবে:
- ছোট শিশু (যারা চিবিয়ে খেতে পারবে না) তাদের বড়ি বুকের দুধ, ওরাল স্যালাইন বা পরিষ্কার নিরাপদ পানির সঙ্গে মিশিয়ে ছোট কাপ বা চামচ দিয়ে খাওয়ান।
- বড় শিশুরা পানি দিয়ে গিলে অথবা পানির সঙ্গে মিশিয়ে কাপ বা চামচ দিয়ে খেতে পারবে।
- ডায়রিয়া ভালো হয়ে গেলেও পূর্ণ ১০ দিন জিংক বড়ি খাওয়াতে হবে।
- জিংক বড়ি ডায়রিয়ার তীব্রতা ও স্থায়িত্ব দুটোই কমায়। ডায়রিয়া শুরুর দিন বা পরদিন থেকেই জিংক শুরু করা যায়।
- দুই মাস থেকে ছয় মাস পর্যন্ত: এক বড়ি (১০ মিগ্রা) প্রতিদিন, ১০ দিন।
- ছয় মাস থেকে পাঁচ বছর পর্যন্ত: এক বড়ি (২০ মিগ্রা) প্রতিদিন, ১০ দিন।
- কীভাবে খাওয়াতে হবে:
- ছোট শিশু (যারা চিবিয়ে খেতে পারবে না) তাদের বড়ি বুকের দুধ, ওরাল স্যালাইন বা পরিষ্কার নিরাপদ পানির সঙ্গে মিশিয়ে ছোট কাপ বা চামচ দিয়ে খাওয়ান।
- বড় শিশুরা পানি দিয়ে গিলে অথবা পানির সঙ্গে মিশিয়ে কাপ বা চামচ দিয়ে খেতে পারবে।
- ডায়রিয়া ভালো হয়ে গেলেও পূর্ণ ১০ দিন জিংক বড়ি খাওয়াতে হবে।
৩. স্বাভাবিক
খাবার:
ডায়রিয়ার
সময় শিশুকে
অন্য
সব স্বাভাবিক
খাবার,
মাছ-ভাত ইত্যাদি
দিতে
হবে।
৪. সঠিক
উপায়ে স্যালাইন
তৈরি ও
সংরক্ষণ
ওরাল স্যালাইন তৈরি করার পদক্ষেপগুলো হচ্ছে:
- সাবান ও পানি দিয়ে হাত পরিষ্কার করুন।
- একটা প্যাকেট থেকে সবটুকু পাউডার একটি পরিষ্কার পাত্রে ঢালুন। হাতের কাছে যা পাওয়া যায় তাই ব্যবহার করুন। যেমন: কলসি বা বাটি।
- আধা লিটার পরিষ্কার পানি মেপে নিন। সবচেয়ে ভালো হয়, পানি ফুটিয়ে ঠান্ডা করে নেওয়া।
- পাত্রে পানিটা ঢেলে দিন, পাউডারটা সম্পূর্ণ গলে না যাওয়া পর্যন্ত ভালো করে মেশান।
- পাত্রটা ঢেকে দিন এবং গতকালের স্যালাইন পড়ে থাকলে তা ফেলে দিন।
স্যালাইন জ্বাল দেওয়া বা গরম করা যাবে না।
ওরাল স্যালাইন তৈরি করার পদক্ষেপগুলো হচ্ছে:
- সাবান ও পানি দিয়ে হাত পরিষ্কার করুন।
- একটা প্যাকেট থেকে সবটুকু পাউডার একটি পরিষ্কার পাত্রে ঢালুন। হাতের কাছে যা পাওয়া যায় তাই ব্যবহার করুন। যেমন: কলসি বা বাটি।
- আধা লিটার পরিষ্কার পানি মেপে নিন। সবচেয়ে ভালো হয়, পানি ফুটিয়ে ঠান্ডা করে নেওয়া।
- পাত্রে পানিটা ঢেলে দিন, পাউডারটা সম্পূর্ণ গলে না যাওয়া পর্যন্ত ভালো করে মেশান।
- পাত্রটা ঢেকে দিন এবং গতকালের স্যালাইন পড়ে থাকলে তা ফেলে দিন।
স্যালাইন জ্বাল দেওয়া বা গরম করা যাবে না।
0 comments:
Post a Comment