কেন হয় কিডনির রোগ?কিডনি রোগের প্রধানতম কারণ কিডনির প্রদাহ। উচ্চরক্তচাপ ও ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে না থাকলে তা থেকেও হতে পারে এই রোগ। আবার যাঁদের রক্তচাপ অতিরিক্ত কম থাকে, তাঁদেরও হঠাৎ বিকল হয়ে যেতে পারে কিডনি। তবে এ ক্ষেত্রে রোগটি সহজে নিরাময়যোগ্য।
কীভাবে বুঝবেন কিডনির সমস্যা?কিডনির রোগীদের শারীরিক দুর্বলতা, ক্ষুধামন্দা, বমি, পায়ে পানি আসা—এ ধরনের সমস্যা হতে পারে। তবে বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই শুরুর দিকে তেমন কোনো লক্ষণ থাকে না। যখন সমস্যা দেখা দেয়, তখন হয়তো দুটি কিডনিই সম্পূর্ণভাবে নষ্ট হয়ে যায় এবং তা থেকে নিরাময়ের জন্য তেমন কিছু করার থাকে না। তাই কিডনি ভালো আছে কি না তা পরীক্ষা-নিরীক্ষার মাধ্যমে জেনে নেওয়া উচিত। এসব পরীক্ষা-নিরীক্ষার মধ্যে রয়েছে প্রস্রাব পরীক্ষা ও রক্তে ক্রিয়েটিনিনের পরিমাণ নির্ণয় করা।
যাঁরা কিডনির সমস্যায় ভুগছেন
প্রোটিনসমৃদ্ধ খাবার খেতে হবে পরিমাণমতো। প্রতিদিন একটি
ডিমের সাদা অংশ, দুই টুকরো মাছ এবং দুই টুকরো মুরগির মাংস খাবেন।
আমিষসমৃদ্ধ খাবার এর চেয়ে বেশি খাওয়া যাবে না। কামরাঙা খাওয়া চলবে না
একদমই। এটি আপনার কিডনিকে আরও ক্ষতিগ্রস্ত করবে। যাঁদের কিডনির সমস্যা খুব
বেশি, তাঁদের অন্যান্য ফলের ব্যাপারেও রয়েছে নিষেধাজ্ঞা। অনেকের পা ফুলে
যায়, তাঁরা এক দিনে এক লিটারের বেশি পানি পান করতে পারবেন না।
কারা রয়েছেন কিডনির রোগের ঝুঁকিতে?
বয়স্ক ব্যক্তিরা রয়েছেন ঝুঁকিতে। ৩৫ বছর বয়সের পর থেকে
প্রতিবছরই কিডনির কার্যক্ষমতা কিছুটা কমতে থাকে। ৭০ বছর নাগাদ তা অত্যন্ত
কমে যায়, আর তাই বেড়ে যায় কিডনির রোগের ঝুঁকি। যাঁদের ডায়াবেটিস ও
উচ্চরক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে নেই, তাঁরাও রয়েছেন ঝুঁকিতে। আগুনে পোড়া, ডায়রিয়া
বা অতিরিক্ত বমি হওয়ার কারণে রক্তচাপ কমে যায়, তখন কিডনি রোগ হওয়ার ঝুঁকি
রয়েছে।
প্রতিরোধ করুন
পর্যাপ্ত পানি পান করুন। প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য দৈনিক আড়াই
থেকে তিন লিটার পানি পান করা প্রয়োজন। আবার যাঁরা খুব বেশি দৈহিক পরিশ্রম
করেন, তাঁদের প্রতিদিনের পানির চাহিদা আরও বেশি। আর যাঁদের প্রস্রাবে
সংক্রমণ হয়, তাঁদের প্রচুর পানি পান করা উচিত। কামরাঙা খাওয়ার ব্যাপারে
সচেতন থাকতে হবে। ডায়াবেটিস ও উচ্চরক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখুন। আপনার কিডনি
ভালো আছে কি না তা জানার জন্য অন্তত একবার পরীক্ষা-নিরীক্ষা করান।
0 comments:
Post a Comment