কাঠফাটা এই চৈত্রের গরমে তরমুজ প্রশান্তি এনে
দেয়। প্রায় পাঁচ হাজার বছর আগে মিসরে প্রথম আবাদ করা হয় এই রসাল ফলের,
কালাহারি মরুভূমি হচ্ছে তরমুজের আদিনিবাস।
তবে এখন বিশ্বজুড়ে প্রায় বারো শ ধরনের তরমুজ আবাদ করা হয়।
তরমুজের বিশেষত্ব হলো এর মধ্যে ৯২ শতাংশই পানি, তাই গরমে পানিশূন্যতা রোধে
এটি খুবই উপকারী। বাকি ৬ শতাংশ হলো চিনি, কিছুটা রয়েছে খনিজ ও ভিটামিন,
কিন্তু চর্বি বা কোলেস্টেরল প্রায় শূন্য।
বেশ ভালো পরিমাণে বিটা ক্যারোটিন বা ভিটামিন এ রয়েছে তরমুজে, আরও আছে ভিটামিন সি, পটাশিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম।
এগ্রিকালচার ফুড অ্যান্ড কেমিস্ট্রি সাময়িকী বলেছে, তরমুজের
রসে রয়েছে এল সাইট্রুলিন নামের অ্যামাইনো অ্যাসিড, যা দেহে এল আরজিনিনকে
পরিবর্তন করে এবং রক্তনালি প্রসারিত করে রক্ত সঞ্চালন বাড়ায়। এ কারণে তরমুজ
হূৎপিণ্ডের জন্য ভালো। এ ছাড়া এতে আছে লাইকোপিন নামের
অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট, যা ক্যানসার প্রতিরোধে সহায়ক। তবে তরমুজে চিনির
পরিমাণ একটু বেশি; এর গ্লাইসেমিক সূচক ৭২, তাই ডায়াবেটিস রোগীদের একটু
হিসাব করে খাওয়া উচিত। তা ছাড়া এর ডাইউরেটিক বা প্রস্রাববর্ধক ক্ষমতা আছে,
যা বয়স্ক ব্যক্তিদের জন্য বিরক্তিকর হতে পারে। নিউট্রিশন ফ্যাক্ট।
0 comments:
Post a Comment