থ্যালাসেমিয়া: রক্তের রোগ
থ্যালাসেমিয়া একটি
জন্মগত রক্তের রোগ।
মা-বাবার মধ্যে
কেউ বা দুজনেই
থ্যালাসেমিয়া রোগী বা
এ রোগের বাহক
হলে সন্তান এই
রোগে আক্রান্ত হতে
পারে।
কীভাবে বুঝবেন?
রোগের তীব্রতা অনুযায়ী লক্ষণে বিভিন্নতা দেখা দেয়। মারাত্মক থ্যালাসেমিয়াকে বলা হয় থ্যালাসেমিয়া মেজর—এতে শিশুর বয়স তিন থেকে ছয় মাসের মধ্যেই মারাত্মক রক্তস্বল্পতা দেখা দেয়। শিশু দুর্বল ও ফ্যাকাশে হয়ে যায়। যকৃত ও প্লীহা বড় হতে থাকে বলে পেট বড় দেখায় বা পেটে চাকা অনুভূত হয়।
মাঝারি বা হালকা মাত্রার রোগ অর্থাৎ থ্যালাসেমিয়া মাইনরে আরও দেরিতে লক্ষণ প্রকাশ পায়, রক্তস্বল্পতাও এত তীব্র হয় না। দুর্বলতা, বৃদ্ধি ব্যাহত হওয়া ইত্যাদি লক্ষণ পরিলক্ষিত হতে পারে। অনেক সময় মৃদু মাত্রার রোগ বাহকেরা বড় হওয়া পর্যন্ত জানতেই পারে না। মৃদু রক্তস্বল্পতার কারণ খুঁজতে গিয়ে তা ধরা পড়ে।
চিকিৎসা কী?
মেজর থ্যালাসেমিয়ার রোগীকে নিয়মিত বিরতিতে রক্ত দিতে হয়। তা না হলে তাকে বাঁচানো মুশকিল। এর সঙ্গে বারবার লোহিত কণিকা ভেঙে যাওয়ার কারণে এবং বারবার রক্ত দেওয়ার জন্য এদের শরীরে অতিরিক্ত আয়রন বা লৌহ জমে যায়। অতিরিক্ত আয়রন বিভিন্ন অঙ্গে বিশেষ করে গ্রন্থিগুলোতে জমে গেলে সেই গ্রন্থির কার্যকারিতা নষ্ট হয়। এজন্য আয়রনযুক্ত খাবার বা আয়রন বড়ি এড়িয়ে চলা দরকার। প্রয়োজনে নিয়মিত রক্ত থেকে আয়রন নিষ্কাশন করার দরকার পড়ে। অনেক সময় প্লীহা কেটে ফেলে দিতে হয়। তবে অস্থিমজ্জা প্রতিস্থাপন বা বোন ম্যারো ট্রান্সপ্লান্ট হলো এর নিরাময়ে একমাত্র চিকিৎসা।
প্রতিরোধ সম্ভব
মাইনর থ্যালাসেমিয়া বাহকদের অনেকেই এই সমস্যার উপস্থিতি সম্পর্কে ওয়াকিবহাল নন। ফলে দুজন আক্রান্ত জিনের অধিকারী বা দুজন বাহকের মধ্যে বিয়ে হলে তাঁদের সন্তান মারাত্মক থ্যালাসেমিয়ায় আক্রান্ত হতে পারে।
মৃদু মাত্রার রক্তস্বল্পতা হলেও অকারণে আয়রন বড়ি না খেয়ে রক্তস্বল্পতার কারণ খুঁজে দেখা দরকার। দম্পতির কেউ বাহক হলে গর্ভধারণের আগেই কিছু ব্যবস্থা নেওয়া যায়। দুজনেই বাহক হলে যথাযথ কাউন্সেলিংয়ের দরকার।
কীভাবে বুঝবেন?
রোগের তীব্রতা অনুযায়ী লক্ষণে বিভিন্নতা দেখা দেয়। মারাত্মক থ্যালাসেমিয়াকে বলা হয় থ্যালাসেমিয়া মেজর—এতে শিশুর বয়স তিন থেকে ছয় মাসের মধ্যেই মারাত্মক রক্তস্বল্পতা দেখা দেয়। শিশু দুর্বল ও ফ্যাকাশে হয়ে যায়। যকৃত ও প্লীহা বড় হতে থাকে বলে পেট বড় দেখায় বা পেটে চাকা অনুভূত হয়।
মাঝারি বা হালকা মাত্রার রোগ অর্থাৎ থ্যালাসেমিয়া মাইনরে আরও দেরিতে লক্ষণ প্রকাশ পায়, রক্তস্বল্পতাও এত তীব্র হয় না। দুর্বলতা, বৃদ্ধি ব্যাহত হওয়া ইত্যাদি লক্ষণ পরিলক্ষিত হতে পারে। অনেক সময় মৃদু মাত্রার রোগ বাহকেরা বড় হওয়া পর্যন্ত জানতেই পারে না। মৃদু রক্তস্বল্পতার কারণ খুঁজতে গিয়ে তা ধরা পড়ে।
চিকিৎসা কী?
মেজর থ্যালাসেমিয়ার রোগীকে নিয়মিত বিরতিতে রক্ত দিতে হয়। তা না হলে তাকে বাঁচানো মুশকিল। এর সঙ্গে বারবার লোহিত কণিকা ভেঙে যাওয়ার কারণে এবং বারবার রক্ত দেওয়ার জন্য এদের শরীরে অতিরিক্ত আয়রন বা লৌহ জমে যায়। অতিরিক্ত আয়রন বিভিন্ন অঙ্গে বিশেষ করে গ্রন্থিগুলোতে জমে গেলে সেই গ্রন্থির কার্যকারিতা নষ্ট হয়। এজন্য আয়রনযুক্ত খাবার বা আয়রন বড়ি এড়িয়ে চলা দরকার। প্রয়োজনে নিয়মিত রক্ত থেকে আয়রন নিষ্কাশন করার দরকার পড়ে। অনেক সময় প্লীহা কেটে ফেলে দিতে হয়। তবে অস্থিমজ্জা প্রতিস্থাপন বা বোন ম্যারো ট্রান্সপ্লান্ট হলো এর নিরাময়ে একমাত্র চিকিৎসা।
প্রতিরোধ সম্ভব
মাইনর থ্যালাসেমিয়া বাহকদের অনেকেই এই সমস্যার উপস্থিতি সম্পর্কে ওয়াকিবহাল নন। ফলে দুজন আক্রান্ত জিনের অধিকারী বা দুজন বাহকের মধ্যে বিয়ে হলে তাঁদের সন্তান মারাত্মক থ্যালাসেমিয়ায় আক্রান্ত হতে পারে।
মৃদু মাত্রার রক্তস্বল্পতা হলেও অকারণে আয়রন বড়ি না খেয়ে রক্তস্বল্পতার কারণ খুঁজে দেখা দরকার। দম্পতির কেউ বাহক হলে গর্ভধারণের আগেই কিছু ব্যবস্থা নেওয়া যায়। দুজনেই বাহক হলে যথাযথ কাউন্সেলিংয়ের দরকার।
থ্যালাসেমিয়া কী?
হিম ও গ্লোবিন নিয়ে রক্তে লোহিত কণিকার অন্যতম উপাদান হিমোগ্লোবিন গঠিত। জিনগত ত্রুটির কারণে গ্লোবিন চেইনের গঠনে সমস্যা হলে এই রোগের সৃষ্টি হয়। এতে মারাত্মক রক্তস্বল্পতা দেখা দেয়।
হিম ও গ্লোবিন নিয়ে রক্তে লোহিত কণিকার অন্যতম উপাদান হিমোগ্লোবিন গঠিত। জিনগত ত্রুটির কারণে গ্লোবিন চেইনের গঠনে সমস্যা হলে এই রোগের সৃষ্টি হয়। এতে মারাত্মক রক্তস্বল্পতা দেখা দেয়।
0 comments:
Post a Comment